কল্পনা নয়, ০৫.০২.২০২৩ ইং গত ১৪ বছরে এদেশে দৃশ্যমান বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে। এক সমীক্ষা জরিপে দেখা গেছে, এদেশে ৫ কোটি মানুষ খাদ্য ও অর্থ সহায়তা সরাসরি পাচ্ছে, বয়স্ক বিধবা মুক্তিভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা পাচ্ছে এমনকি সকলের পেনশন ভাতা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে, গরিব অসহায় পাচ্ছে ভিজিএফ কার্ডে খাদ্য সহায়তা। অতীতে এভাবে কেউ মানুষকে নিয়ে ভাবেনি, মানুষের জন্য করনীয় কী, মানুষ রাষ্ট্রের কাছে কি চায়, কেন জাতীয় সরকার গঠন করে, মানুষের কি চাহিদা আছে, মানুষের জন্য কি প্রয়োজন? কোনদিন কেউ এভাবে জানতে চাইনি, যেভাবে এই সরকার জেনেছে এবং করে যাচ্ছে। বিগত দিনে দেখেছি কথামালার ফুলঝুরিতে এদেশের রাজনীতিবিদরা বুলি আওড়িয়ে অঙ্গীকারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছে কিন্তু কোন বাস্তবায়ন নেই। এমন দৃশ্যমান উন্নয়ন চোখে পড়েনি। যুদ্ধে বিধ্বস্ত এদেশ এখন উন্নয়নের মডেল সরুপ সোনার বাংলায় পরিনত। বিদেশীরা এসে থমকে দাঁড়ায়! যারা একদিন বলেছিল এই দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি; তারাই অবাক হয়ে যায়। দেখুন আপনারা কিভাবে দ্রুত বদলে যায়,এগিয়ে যায় বিশ্বের সাথে তাল মিলেয়ে সোনার বাংলা। মনে রাখবেন, আর এই দেশকে দাবিয়ে রাখা যাবেনা, যেমনটা পারেনি ৭১ রে। স্বাধীনতা যখন চিনিয়ে এনেছে সেই স্বাধীনতার সুফল ভোগ করবেই বাঙালি।
এদেশে পদ্মা সেতু হয়েছে,কক্সবাজারে স্বপ্নের রেলস্টেশন, চট্টগ্রামের চোখ ধাধানো উন্নয়ন এগিয়ে যাচ্ছে উন্নতির সমৃদ্ধির পথে, এভাবেই এগিয়ে যাবে নিজস্ব ব্র্যান্ড মেড ইন শিল্পায়ন বাংলাদেশ পরিচয়ে,এমন স্বপ্ন নিয়েই এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার দীর্ঘ পথপরিক্রমায় আজ এই দেশ একটা অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। কল্পনা নয়, দেখুন-শহরের মেট্রোরেল, কর্ণফুলী নদীতে টানেল,পদ্ধায় ব্রিজ,ছয় লেনের সড়ক, উড়াল সেতু,চলছে পাতালরেল নির্মাণের প্রস্তুতি, জাতীয় সরকারিকরন স্কুল মসজিদ মাদ্রাসা, রাস্তাঘাট, বীর নিবাস,গৃহ নিমার্ণ। বিশ্বের সঙ্গে চ্যালেঞ্চ ছুড়ে দেয় আজকের এই বাংলাদেশ। টিস্যু পেপার থেকে পোশাক, সিমেন্ট থেকে ইস্পাত উৎপাদন ও খাদ্য শিল্পে বিস্ময়কর অগ্রগতি দৃশ্যমান। যারা বলে এই দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি, তারা জেনে রাখুন, এই দেশ যখন পরাধীন ছিল তখনও বিদেশিরা এ দেশে এসে ব্যবসা বাণিজ্য করতো, এদেশের অর্থনীতি এমনি ছিল ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্য আফগান কাবুলিওয়ালা ব্রিটিশ ডাচ পর্তুগিজ ওনদ্দাজরা আসতো এদেশের সম্পদ লুট করে নিতে, বড়লোক হতে। ইতিহাস স্বাক্ষী দেয়, সিরাজুদ্দৌলাকে পরাস্ত করে বাংলা দখলের পর কী পরিমাণ সম্পদ মুর্শিদাবাদ থেকে লুট করে লন্ডনে নিয়ে গেছে ইতিহাস ঘাটলে তা পাওয়া যাবে। এরপর নিয়ে গেছে ৭১ ভারত। তারপরেও সেই পরাধীন থেকে স্বাধীন উত্তোরণের অর্থনীতি সারথী আজকের এই বাংলাদেশ।
তবু্ও মানুষকে খুশী করা কঠিন। মানুষকে চাঁদটা এনে দিলেও বলে কি না ঐ সূর্যটা এনে দিতে হবে! বড় অদ্ভূত মানুষের ভেতরটা! এত দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখেও মানুষ টিপ্পনী ছুড়ে? যাহার হ্নদয় হিমালয় সমান মানবতার সেবায়, তাকেই কি না টিপ্পনী মাড়ে! তার ওই উত্থানের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে কে এমন আছেন এত সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে বিশ্বের দরবারে? আসুন। স্বাগত জানাবো।