রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
এসএম রুবেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
আজকাল রাজনৈতিক অঙ্গণে ভালো মানুষ খুঁজে পাওয়া বা চোখে পড়া খুব-ই দুষ্কর। অনেকেই এখন রাজনৈতিক নেতাদের দিকে অন্য চোখে (তৃতীয় চোখে) তাকায়। বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্গণ থেকে শুরু করে সামাজিক অঙ্গণে সাধারণ মানুষের কাছে আস্থা অর্জন করাটা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ এর বিষয়। তবে আজও কিছু মানুষ আছে যারা নিজেদেরকে বিলিয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষের সেবায়। যার মধ্যে শিবগঞ্জ-১ আসন’র বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের পার্লামেন্ট মেম্বার ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা.সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল অন্যতম। অনেক
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে এখনো অনেক ভালো মানুষ আছে যারা নিজেদের নয় প্রতিটি মুহূর্ত চিন্তা ও চেতনায় ভাবে সাধারণ মানুষের কথা। ব্যাক্তি জীবনের মূল্যবান সময় অতিবাহীত করে দেশ ও জাতির উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবদান রাখার চেষ্টায় নিজের অর্জিত অর্থের অংশ বিলিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করে অসহায় অক্ষম সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে। শিবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই তার এ মহানুভবতার কথা অকপটে জানায় প্রতিবেদককে। শিবগঞ্জ বাসির জীবনমান উন্নয়নে তার প্রয়াত পিতার ভূমিকাও ছিলো উল্লেখযোগ্য। তিনি বংশগত আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। ডা.সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল ছাত্রজীবনে রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। তবে শিক্ষাজীবন শেষ করে চিকিৎসা পেশায় যুক্ত হন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক ও তার নিজ মালিকানায় ডলফিন ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। শিমুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মনাকষার ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া গ্রামের ৪”র জানুয়ারি ১৯৬৯ খ্রিঃ জন্ম গ্রহণ করেন তিনি তার পিতার নাম মইন উদ্দিন আহমেদ মন্টু ডাক্তার যিনি পার্লামেন্ট সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। তার মাতার নাম রোকেয়া আহমেদ। শিক্ষাজীবনে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ছাত্রলীগের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখার সহ-সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) রাজশাহী জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তিনি প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে শিবগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। যদিও তিনি জামায়াতের প্রার্থী কেরামত আলীর কাছে পরাজিত হন।তবুও সাধারণ জনগণের সেবা করতে ভূল করেননি একপাও পিছুটান দেননি ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিবগঞ্জ-১ আসন’র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরক্ষ তিনি বিপুল ভোটে জনগণের সহযোগিতায় নির্বাচিত হন।
জানাগেছে-ডা.শিমুলের পিতা জেলা আওয়ামী লীগ জনপ্রিয় নেতা প্রয়াত ডা.মঈন উদ্দিন আহম্মেদ মন্টু ডা. নামে বেশিরভাগ জনপ্রিয় ছিলেন, ৪৩ চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জ-১ আসন থেকে ১৯৭০, ১৯৭৩ এবং ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য ছিলেন। পিতার অনুপ্রেরণায় ভবিষ্যতে পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে ডা.শিমুল উদ্দিন আহমেদ শিমুল রাজনৈতিক অঙ্গনে জড়িত হন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ডা.শিমুল ২০০৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে নিজের রাজনৈতিক পরিচিতি যাত্রার একধাপ সম্মুখে অগ্রসর হন। যদিও তিনি সামান্য ভোটে তৎকালীন জামায়াতের প্রার্থী কেরামত আলীর কাছে পরাজিত হন।তবে তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার ডলফিন ক্লিনিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কর্ণধার ও ডা.হিসেবে দীর্ঘ সময় গতানুগত চিকিৎসার মাধ্যমে শিবগঞ্জ এলাকার সাধারণ জনগণের মানবিক চিকিৎসক হিসেবে সুনামের সহিত মানুষের অন্তরে জায়গা করে নেন।
আগামী নির্বাচনে অজ্ঞাত একটি কুচক্রী মহল তার অর্জিত সুনাম নষ্ট করার পায়তারা করছে বলে একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ বিষয় তিনি শিবগঞ্জ উপজেলা বাসির প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন সমাজের শান্তি নষ্টকারী অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডা.শিমুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে নৌকার মনোনয়ন পেতে প্রায় প্রতিদিনই তার নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ মানুষের খোঁজখবর রাখছেন। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কাজের প্রচার, কর্মিসভা,গণসংযোগ উঠান বৈঠক, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার মধ্য দিয়ে দলের নীতিনির্ধারকদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন।
শিবগঞ্জ-১ আসন থেকে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর থেকেই এলাকার উন্নয়নে তিনি তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সুদীর্ঘ সময় ব্যস্ততায় পার করেন। তিনি যে একজন অভিজ্ঞ ও চৌকস রাজনীতিবিদ, সেটা তাঁর নির্বাচনী প্রস্তুতিমূলক প্রচার প্রচারণায় কিছুটা হলেও বোঝা যায়।
জনগণের মন জয় করে তিনি যেভাবে কাছে টেনে নিতে পেরেছেন সেটা এক কথায় অসাধারণ।
তারই ধারাবাহিকতায় এখন তাঁর সুযোগ এসেছে জনগণের নিকট নৌকার পক্ষে স্বাধীনতার প্রতীকে ভোট চাইবার। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জকে একটি মডেল নগরীতে পরিণত করতে চান। যাতে আধুনিক শহর ও অগ্রসর জেলার সকল সুযোগ সুবিধা এ জেলার মানুষ ভোগ করতে পারেন। এছাড়াও এলাকায় গ্যাসসংযোগ এবং জেলা থেকে মাদক নির্মূলের সর্বশক্তি নিয়োগ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। একটা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমি রাজনীতিবিদ হতে চাই না। আমি জনগণের বন্ধু হতে চাই। নআমার স্বপ্ন আধুনিক চাঁপাইনবাবগঞ্জ গড়ার। সে লক্ষ্যে তিনি শিবগঞ্জ’র একজন মানবিক নেতা হওয়া সত্যেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপনির্বাচনে নৌকার বিজয় লক্ষ্যে সম্মূখ সারির যোদ্ধা হয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন,তাই তিনি মনে করেন দ্বাদশ নির্বাচনেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিবগঞ্জের নৌকার মনোনয়ন তুলে দেবেন তারই হাতে।