সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা :
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ডিবি পরিচয়ে হৃদয় মিয়া নামের এক যুবককে তুলে নেয়ার চেষ্টা করলে জনতার হাতে আটক হয় তিন যুবক। ঘটনার সময় ডিবি পরিচয় দানকারীদের আচরণ সন্দেহহলে তাদের আটক করে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় মামলা দিয়ে গতকাল তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত শক্রবার কলমাকান্দা উপজেলার সিধলী বাজারে তাদের আটক করে এলাকাবাসী।
আটকরা হলেন- নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার রহিমানপুর গ্রামের সুমন আহমেদ, একই জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার শিধুলী গ্রামের সমিউল হারুন ও রাজশাহীর তানোর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের আসমত আলী।
উদ্ধার হওয়া হৃদয় মিয়া কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুরা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী উত্তর গোঁড়াগাঁওয়ের আব্দুল জলিলের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী কৈলাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, ওই তিনজন লেঙ্গুরার এক যুবককে আব্বাস নগর থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে আসেন সিধলী বাজারে।
আব্বাস নগর থেকে সিধলীর দূরত্ব দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার। সিধলীতে নিয়ে এসে অটোরিকশায় ওঠানোর সময় ওই যুবকের চিৎকারে লোকজন জড়ো হয়। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয়। তখন ডিবি পরিচয়ধারীদের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হয়। তারা কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি। তখনই উপস্থিত লোকজন তাদের ওপর চড়াও হয়। পরিস্থিতি খারাপ হবে ভেবে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়।
হৃদয়ের মা মালেকা খাতুন বলেন, “আমার ছেলে (হৃদয়) ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালায়। ওই দিন তার মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে ডিবি পরিচয় দিয়ে হৃদয়কে বলে, ‘তুই তক্ষক ব্যবসা করিস, আমাদের এক লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে, নইলে তোকে জীবনের মতো শেষ করে ফেলব’।
তার অভিযোগ, চাঁদার টাকা দিতে অনীহা প্রকাশ করায় হৃদয়কে মারধর করে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। কলমাকান্দা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোকন কুমার সাহা জানান, ওই তিন যুবক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে হৃদয় মিয়াকে তুলে নিতে চেয়েছিলেন। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর মা।