সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তাং-১৮-০২-২০২৩ইং এক সাংবাদিককে দীর্ঘদিন ধরে হত্যার পরিকল্পনায় নানান ষড়যন্ত্র চালিয়েই চাচ্ছেন রাশেদুজ্জামান ওরফে রঞ্জু (৪৯) নামে সিআইডি পুলিশের সদস্য ও অন্যান্য সমন্বয়করা।
বিভিন্ন তথ্য নির্ভর সূত্রে জানা যায়, প্রেস ক্লাব সুন্দগঞ্জ'র সভাপতি ও ঢাকা প্রেস ক্লাব'র স্থায়ী সদস্য বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিককে দীর্ঘদিন ধরে হত্যার পরিকল্পনা ছাড়াও নানাভাবে ক্ষতি ও হয়রাণী করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এ পুলিশ সদস্য। তিনি বর্তমানে ঢাকাস্থ মালিবাগ সিআইডি সদর দপ্তরে কর্মরত আছেন বলে তার স্ত্রী বিউটি বেগম কর্তৃক গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপারসহ পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরে দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। যার বিপি নং- ৭৮৯৮০২৩৬৮৮, কং নং- ১০৩৮। বিউটি বেগম অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার স্বামী রাশেদুজ্জামান ওরফে রঞ্জু বিনা অনুমতিতে ৬ষ্ঠবারের মতো বিয়ে করা ছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নারী নিয়ে কর্ম এলাকার পাশাপাশি বসবাস করেন। সন্তানদেরসহ তাকে (বিউটি বেগম) ভরণপোষণ না দেয়ায় বার বার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। ইতঃপূর্বে রাশেদুজ্জামান কুড়িগ্রামে কর্মরত থাকায় তার বাবা সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিকের মাধ্যমে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। যা তার অভিযোগমতে লেখা হয়েছিল। ঐ সংবাদ পড়ে তৎকালীণ কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার বিষয়টি মিমাংশা করে দেন। সেখানে তার স্বামী রাশেদুজ্জান যে অঙ্গীকার করেছিল তা বজায় না রেখে বরং পরবর্তীতে ঐ সাংবাদিককে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকায় সাংবাদিকের একজন চাচাতো ভাই ও একজন চাচাসহ শোভাগঞ্জ বাজারের কয়েকজন কু-চক্রি ব্যক্তি তার স্বামী রাশেদের সঙ্গে যোগ দেয়। বিষয়টি জানতে পেয়ে স্বামীকে বাঁধা অতঃপর এক মামা ও মামীর মাধ্যমে খবরে সাংবাদিককে সাবধান থাকতে বলার কথা জানতে পেয়ে তাকে ঐ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করার জন্য চাপ দেয় তার স্বামী সিআইডি পুলিশ সদস্য রাশেদুজ্জামান ওরফে রঞ্জু। এতে রাজী না হওয়ায় বিউটি বেগমকেও হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। ফলে তার স্বামী রাশেদুজ্জামানের সমাজ ও রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে লিপ্ত থাকা নারীদের মধ্যে বিভিন্ন সময় একেকজনকে লেলিয়ে দিয়ে সাংবাদিককে মামলায় ফেলানোর জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এমনকি, বিউটি বেগমকেও চরিত্রহীনার অভিযোগ এনে চাঁদপুর জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী বেনী আমিন সুমনের মাধ্যমে তাকে লিগ্যাল নোটীশ পাঠায় তার স্বামী। সমাজ ও রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে লিপ্ত থাকার বর্ণনায় বিউটি বেগম সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার প্রার্থনায় অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার স্বমী সিআইডি পুলিশ সদস্য বর্তমানে ৬ষ্ঠতম স্ত্রীকে নিয়ে কর্মস্থলের আশপাশে বসবাস করছে। এরআগেও বিনা অনুমতিতে ২য়, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম বিয়ে করে বলে ৪র্থ স্ত্রীকে দিয়ে গত ১২ জানুয়ারী সুন্দরগঞ্জ থানায় ১৩ নম্বর মামলা ও ১৬ জানুয়ারী ৮২৮ নম্বর জিডি করিয়েছে। মামলা ও জিডির বর্ণনা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। আরজী বর্ণীত অভিযোগ রাশেদুজ্জামানের কথামত লেখা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। সিআইডি পুলিশে চাকরির সুবাদে ঢাকা, রংপুর, বান্দরবন, কুড়িগ্রাম, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থানকালে সে পুলিশের পোশাক ও পরিচয় ব্যবহার করে নানা ধরণের মাদক ও নেশাজাতদ্রব্য সংরক্ষণ, সরবরাহ ও বেচাকেনা করে থাকে। এরই একপর্যায়ে রংপুরে 'গ্লোবাল জেনুইন পাওয়ার' নামে হারবাল ঔষধ কোম্পানীর স্বত্বাধিকারী হিসেবে বিভিন্ন গ্রামগঞ্জ ও শিক্ষাঙ্গণের কিশোরী ও যুবতীদেরকে আকর্ষনীয় কমিশনে বিক্রির সহরত দিয়ে প্রলুব্ধ করে। তার উৎপাদিত যৌন উত্তেজক ঔষধ বিক্রি, সরবরাহ ও প্রস্তুতিতে যেসব নারী নিযুক্ত রয়েছে তাদের মাধ্যমে সুন্দরী কিশোরী ও যুবতীদেরকে সুযোগমতো জায়গায় নিয়ে কু-কর্মে জড়িয়ে চিত্রধারণ অতঃপর তার কথামতো চলতে বাধ্য করিয়ে থাকে। এ কারণে তার স্বামীর হাতে রয়েছে অসংখ্য নারী। রাশেদুজ্জামান নিজ নামীয় ৪টি ছাড়াও হাতে থাকা নারীদের মাধ্যমে কমপক্ষে ১১টি মোবাইল সীমকর্ডের নম্বর ব্যবহার করে এসব কু-কর্মের যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে। সুন্দরগঞ্জ থানার ঐ মামলা ও জিডির অভিযোগকারী ও স্বাক্ষীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পুলিশ সদস্য রাশেদের ঘনিষ্ট সহোচর। তাই, সমষ্টিগতভাবে সকলের মোবাইল নম্বরগুলো ট্র্যাকিং, অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম অনুসন্ধান পূর্বক চক্রটির নানামূখী অপরাধমূলক রহস্য উদঘাটন করার দাবী জানিয়েছেন বিউটি বেগম।
এব্যাপারে সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, সিআইডি পুলিশে কর্মরত রাশেদুজ্জামান ওরফে রঞ্জু গত ডিসেম্বর মাসের শেষ পক্ষের ২ শুক্র ও শনিবার শোভাগঞ্জ কলেজ মোড়ে তার কতিপয় সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে আমাকে হত্যার পরিকল্পনায় মহড়া দেয়। পেশাগত কারণে বাইরে থাকায় সে আমাকে না পেয়ে বয়বৃদ্ধ আমার বাবা ও মাকে শাসিয়ে যায়। ঘটনা পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানতে পেয়েছি। এরপর চলতি বছরের ২ জানুয়ারী (২০২৩) সকালে একটি মামলার বাদী ও তার স্ত্রী বিউটি বেগমকে দিয়ে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক আমার যেসব ক্ষতি ও হয়রাণী করেছে, তা অপূরণীয়। তিনি সিআইডি পুলিশ সদস্য রাশেদুজ্জামান ওরফে রঞ্জু, মামলার বাদী ও জিডিকারীর নামে- বেনামের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং ও অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমগুলো অনুসন্ধান করে প্রকৃত রহস্য উম্মোচনের দাবী জানান। বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক আরো বলেন, সাংবাদিকতা পেশাগতভাবে ইতঃপূর্বে 'নির্ভীক ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার প্রতীক' হিসেবে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের সু-বিবেচনায় এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছি। পেশাকে যেমন শ্রদ্ধা জানাই তেমনি আইনের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল। তাই, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী জানাই।
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে দায়েকৃত বিউটি বেগমের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সিআইডি পুলিশ সদস্য রাশেদুজ্জামান ও বাদীর পারস্পরিক যোগসজশীমূলক মামলার রহস্য উদঘাটনের দাবী জানিয়েছেন প্রেস ক্লাব সুন্দরগঞ্জ'র নেতৃবন্দ।