এসএম রুবেল,চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার প্রত্যেকটি জেলা উপজেলায় আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে মোহ মোহ কোলাহর চারদিকে এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দেশের বিখ্যাত আমের নগরী রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কানশাট বাজারে প্রায় দুইশ কোটি টাকার উপরে আম বিক্রির আশা করছে ব্যবসায়ীরা।
আগামী জুন মাসের শেষ থেকে বাজারে পাওয়া যাবে রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিখ্যাত আগমন গুঠি ফজলি,সুরমা ফজলি,খিরসা,খুদি খিরসা, গোপালভোগ,ল্যাংড়া, গুঠি,বোম্বাই,কাটিমন,আম্রপালি,
কলম,গোল্ডেন ম্যাংগো হাড়িভাঙ্গা সহ বিভিন্ন জাতের সারাদেশে জনপ্রিয়তার তালিকায় থাকা এসব ফজলি,সুরমা ফজলি,খিরসা,খুদি খিরসা,গোপালভোগ,ল্যাংড়া, গুঠি,বোম্বাই,কাটিমন,আম্রপালি,
আম ১৫ জুনের পর গাছ থেকে পাড়া শুরু হবে। তবে প্রচণ্ড গরম থাকলে দু-এক সপ্তাহ আগেও বাণিজ্যিকভাবে বাজারে খিরসা,খুদি খিরসা, গোপালভোগ,গুঠি,বোম্বাই,কাটিমনআম বিক্রি শুরু করতে পারবেন আমচাষিরা।কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে ইতিমধ্যে শতকরা নব্বই ভাগ গাছে পরিপূর্ণ মুকুল এসেছে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত সব কিছু ঠিক থাকলে ফজলি,
সুরমা ফজলি,খিরসা,খুদি খিরসা, গোপালভোগ,ল্যাংড়া,গুঠি,বোম্বাই,কাটিমন,আম্রপালি,আম বিক্রি করে এ বছর ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা করতে পারবেন জেলার আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা।সেই সঙ্গে গত বছরের মতো এবারও ফজলি,সুরমা ফজলি, খিরসা,খুদিখিরসা,গোপালভোগ,ল্যাংড়া,গুঠি,বোম্বাই,কাটিমন,আম্রপালি,
বিদেশে আরো বেশি পাঠানোর সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে আমচাষিরা বলছেন,এবার প্রতিটি গাছে শুরুতে যে পরিমাণ আমের মুকুল ও গুটি এসেছে,তা শেষ পর্যন্ত থাকলে দিগুণ ফলন আশা করা যাচ্ছে।বেশি ফলনের জন্য ইতিমধ্যে গাছের পরিচর্যা করতে ব্যাস্ত সমায় পার করছে বিভাগের,জেলার ও উপজেলার সর্বস্তরের চাষীরা।ফজলি,সুরমা ফজলি,খিরসা,খুদি খিরসা,গোপালভোগ,ল্যাংড়া, গুঠি,বোম্বাই,কাটিমন,আম্রপালি,
আম কে ঘিরে ঘুরে দাঁড়নোর স্বপ্ন দেখছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাজারো আমচাষি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকজন চাষি জানান,এ মৌসুমে আম গাছে প্রচুর মুকুল এসেছে।কিন্তু প্রথম দফায় আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে মুকুলগুলো ঝরে যায়।দ্বিতীয় দফায় আবারও ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টির কারণে গুটি আমেরও একটি অংশ ঝরে যায়। এছাড়া রমজান মাসে রোজা এবং ঈদের ব্যস্ততার কারণে বাগান পরিচর্যায় কিছুটা অবহেলা হয়। সব মিলিয়ে গতবারের তুলনায় এবার ফলন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তবে যারা সঠিক পরিচর্যা করেছেন,সময় মতো ভিটামিন ও কীটনাশক স্প্রে করেছেন তাদের আমের ফলন ভালো হবে। তারপরও আমের বিপণন ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে চাষিদের। চাঁপাইনবাবগঞ্জের
শিবগঞ্জ উপজেলার আমের হাটখ্যাত কনসার্টে পর্যপ্ত জায়গা না থাকায় ক্রেতাদের ভোগান্তির কারণে বাজার ধরতে অনেক কষ্ট পেতে হয় চাষি ও ব্যবসায়ীদের।রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি,সুরমা ফজলি,খিরসা,খুদি খিরসা, গোপালভোগ,ল্যাংড়া,গুঠি,বোম্বাই,কাটিমন,আম্রপালি,আমের গোটা দেশে জনপ্রিয়তার কারণে এখন আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাশাপাশি আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা সহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে এই আমের বাগান।মৌসুমের শুরুতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি,সুরমা ফজলি,খিরসা,খুদি খিরসা,গোপালভোগ,ল্যাংড়া, গুঠি,বোম্বাই,কাটিমন,আম্রপালি,
চাহিদা বেশি থাকায় এর দাম কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে এবছর প্রতি কেজি আকার ভেদে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে পারে। গত এক দশকে দেশজুড়ে ফজলি,সুরমা ফজলি,খিরসা,খুদি খিরসা,গোপালভোগ,ল্যাংড়া, গুঠি,বোম্বাই,কাটিমন,আম্রপালি,
জনপ্রিয়তা বেড়েছে। সঙ্গে সরকারের পৃষ্টপোষকতায় বিদেশেও রপ্তানির সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে।এবছর ৩৭ হাজার ৮০০শ ৫৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হয়েছে বলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে।