মোঃ মাহফুজুর রহমান
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে এক গৃহবধু কে যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও মারপিট করে ফাঁকা স্টেমে সাক্ষর নিয়েছে স্বামী ও তার শশুর বাড়ীর লোকজন। বর্তমানে মারপিটের শিকার ওই গৃহবধূ পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
ঘটনা টি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার মালিগাঁও কাশীডাঙ্গায় ।
জানা গেছে পীরগঞ্জ উপজেলার পৌর শহরের আব্দুর রশিদের মেয়ে স্মৃতি আক্তারকে গত শুক্রবার মালিগাঁও কাশিডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে স্বামী সুরুজ আলী যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও মারপিট করে স্মৃতি তার পরিবারের অসচ্ছলতার কথা বললে এতে ক্ষীপ্ত হয়ে সুরুজ আলী স্মৃতি কে তালাক দিতে বলে স্মৃতি তার পরিবারের লোকজন ডাকতে চাইলে সুরুজ স্মৃতিকে ধারালো ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত যখম করে এবং প্রাণ নাশকের জন্য গলায় ও আঘাত করে গলায় অস্ত্র ধরে ফাঁকা স্টেমে সাক্ষর নিয়েছে সুরুজ আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
স্মৃতির বাবা জানান এর আগেও সুরুজ তার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছিল, পরে সুরুজ আলী কোটে অঙ্গীকার নামার মাধ্যমে আমার মেয়েকে নিয়ে ঘর সংসার করবে বলে নিয়ে যায়।
সে আবার ও আগের মতো অত্যচার নির্যাতন করা শুরু করেছে, আমি এর সঠিক বিচার চাই আমার মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এবিষয়ে মোঃ সুরুজ আলী বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত,সদর অঞ্চল,ঠাকুরগাঁওয়ে একটি অঙ্গীকারনামা তৈরি করে।
তার দেওয়া অঙ্গীকারনামা হলোঃ
হুজুর,
নিবেদন এই যে, আমি অএ মামলার ১ নং আসামি হইতেছি।আমি আমার স্ত্রী অএ মামলার বাদীনি মোছাঃ স্মৃতি আক্তার এর নিকট কোন যৌতুক চাইনি।আমি কিংবা আমার পরিবারের কেহ ভবিষ্যতে আমার স্ত্রী নিকট কোনরুপ যৌতুক দাবি করিব না,যৌতুকের দাবিতে আমার স্ত্রীর প্রতি কোনরুপ জুলুম অত্যাচার করিব না। তাই আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী এই মর্মে স্বীকার ও অঙ্গীকার করিতেছি যে,আমি মোঃ সুরুজ আলী আমার স্ত্রী মোছাঃ স্মৃতি আক্তারকে লইয়া সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করিব। তার শারীরিক চিকিৎসা করিব।আমার স্ত্রীকে পূর্ণ মর্যাদা প্রদান করিব। ইহার অন্যথা হইবে না।এমনকি আমার পরিবারের কেহ আমার স্ত্রীর প্রতি খারাপ আচার-আচরণ প্রদর্শন করিব না।