সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা :
নেত্রকোনার তারিখ ০৬.০৩.২০২৩ ইং মদন উপজেলার (মাঘান) ইউনিয়নে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প কমিটির পিআইসি (সভাপতি) বর্তমান ইউপি সদস্য সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে।
উপজেলা মাঘান ইউনিয়নের ২০২২-২৩ অর্থবছরের কাবিটা প্রকল্পের কর্মসূচির আওতায় কালিয়াজুরী এফসিডি (প্রকল্পের পোল্ডার ৪)এর ০.৭৫ কিঃ মিঃ ডুবন্ত বাঁধ ব্রীচ ক্লোজিং এর মাঘান নয়াপাড়া বাজারের সংলগ্ন পূনঃনবায়কৃত কাজের গুণগত মান খারাপ হওয়ায়,ও নির্ধারিত সময়ে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ না করার কারণে, কৃষকের মনে খুব সৃষ্টি হয়েছে।।
ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের মাটি কাটা কাজের গুণগতমানের কথা অসন্তোষ প্রকাশ করে, মাঘান গ্রামের অনেক কৃষকই জানান, ফসল রক্ষা বাঁধের মাটি কাটার কাজ কোন রকম দায়সারা ভাবে করে যাচ্ছে, বর্তমান ইউপি সদস্য সোহেল মেম্বার।
গত (১৫ ডিসেম্বর ২০২২) উক্ত প্রকল্পের কাজ শুরু করেন।
গেল (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) উক্ত ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ সম্পূর্ণ শেষ করার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত কাজ শেষ করতে পারেনি কাজের পিআইসি সভাপতি।
দায়সারা ভাবে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ করার কারণে,কৃষকের সারা বছরের পরিশ্রমের ফসল,আগাম বন্যা এসে কৃষকের ধানের জমি তলিয়ে যায়। কৃষকের তখন কষ্টের সীমা থাকে না।
কৃষকের এই কষ্ট দূর করার জন্য, সরকারের পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক মাঘান ইউনিয়নের নয়াপাড়া বাজার সংলগ্ন ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ বাবদ,
২৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৮৩ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মোট ০.৭৫ মিটার) মাটি কেটে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ সংস্কার কাজ করার জন্য ,নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো কর্তৃক।
এলাকাবাসী এও বলেন, ভেকু দিয়া মাটি কেটে ফেলে রেখেছে,কোন রকম দায়সারা ভাবে কাজ করছেন পিআইসি (সভাপতি) সোহেল মেম্বার।
কাজের গুণগতমান ভাল না করে, টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পিআইসি (সভাপতি)।
এ বিষয়ে প্রকল্পের পিআইসি (সভাপতি) সোহেল মিয়ার বলেন, শ্রমিক না থাকার কারণে, গত(২৮ফেব্রুয়ারি) ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করতে পারেনি। কাজ শেষ করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।
অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে, সে জানায়, ভেকু দিয়ে মাটি কাটছি এলোমেলো হয়ে আছে এখন, মাটি আস্তে আস্তে ড্রেসিং করে, ঘাসের চট লাগাব ।
মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিনা শাহরীন এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি সরজমিনে গিয়ে দেখেছি , প্রথমবারের মতো তাকে ওয়ার্নিং দিয়েছি। আগামী (১০ মার্চ) শুক্রবারের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান তিনি,এ প্রতিনিধিকে বলেন, মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিনা শাহরীন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (সভাপতি) মদনের। নির্ধারিত সময় কাজ শেষ না করার কারণে,তিনি তাকে প্রথমবারের মতো ওয়ার্নিং দিয়েছে। উপজেলা থেকে যদি তার ফসল রক্ষা বাঁধের কাজের বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ আসে তার বিরুদ্ধে।
তবে তার পিআইসি বাতিল করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।