গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতি :
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার এর সদস্যরা ৪র্থ পর্যায়ে আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর উদ্বোধনের আশায় স্বপ্ন দেখছেন। আশ্রয়ণের অধিকার,শেখ হাসিনার উপহার' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত কার্যক্রমের অংশ হিসাবে আগামী ২২ মার্চ-২০২৩ ইং তারিখে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে সারাদেশের আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ও চতুর্থ পর্যায়সহ ৫৭ হাজার ৭৩৭টি গৃহ হস্তান্তর করবেন গৃহহূন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে এই অনুষ্ঠানে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় চতুর্থ ধাপে আবারো
১৬০ টি পরিবারকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করবেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের নিবিড় তদারকি ও পিআইও অফিসের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে ওই ১৬০ টি ঘরের সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।এখন শুধুমাত্র উদ্বোধনের আপেক্ষয় দীন পার করছেন অসহায়,হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল ১৬০ জন পরিবার তাদের আশা কাঙ্খিত গৃহ পাওয়ার অপেক্ষায়। পরের জায়গায়র ঘরে থাকার বেদনা ভুলে নিজের জায়গায় থাকতে পেরে আনন্দে মাঝে দিশেহারা।সে সব ছিন্নমূল পরিবার গুলো জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সরেজমিনে দেখা যায়,সালমা বেগম তার নিজের কোন জায়গা জমি নাই।পরের বাড়িতে গৃহ পরিচারিকার কাজ করে কোন রকমে সংসার পরিচালনা করেন যে টাকা তিনি বেতন পান তা দিয়ে তাদের সংসার চলে না।এ সমস্যায় হিমশিম খাচ্ছিলেন এরই মধ্যে তিনি আ্রয়ন প্রকল্পের খবর পেলে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সরকার দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জায়গাসহ ঘর দিবেন জেনে তিনিও আবেদন করেন।কোন রকম ঝামেলা ও খরচ ছাড়াই পেয়ে যান।
এ বিষয়ে রানীশংকৈল উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে দেখেছেন যেন একটি পরিবার ও ভূমিমহীন ও গৃহহীন পরিবার না থাকে।এই লক্ষ্যে কাজ করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসন।উপজেলায় যারা ভূমিহীন ছিল এমন পরিবারকে তালিকা করে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি গৃহ ও দুই শতংশ জমি তাদের নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে ধর্মগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন,
"আমার ইউনিয়নের মোট ৫০ টি ভূমিহীন পরিবার ছিল। তারা প্রত্যেকে আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি করে গৃহ ও ২ শতক জমি পেয়ে গেছেন। তিনি আরো বলেন আমার জানা মতে আমার ইউনিয়নে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার আর নেই। যদি থেকে থাকে তাহলে তারও ঘর পাবে"।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ জানান,মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও ভুমিহীন বা গৃহহীন থাকবে না” প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রাণীশংকৈল উপজেলায় ইতোমধ্যে ১৩৬৮ টি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে।চতুর্থ পর্যায়ের ১৬০টি পরিবারকে পাকা গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে যা আগামী ২২শে মার্চ-২০২৩ ইং তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হস্তান্তর করবেন।প্রতিটি গৃহে দুটি বেডরুম,একটি বারান্দা,একটি রান্নাঘর ও একটি টয়লেট রয়েছে প্রতিটি ঘরে নির্মাণ ব্যয় ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫শ টাকা।প্রতিটি গৃহে পৃথক মিটারসহ বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন,খুবই সচ্ছতার সাথে উপজেলা প্রশাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।উপজেলা প্রশাসন,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে এ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ের দিকে বলে জানা গেছে।