রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
শফিকুল ইসলাম
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা_ আমি বাংলাদেশের অতি সাধারণ একজন নাগরিক।
আমি গত ২০০২ইং সালে গ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কোর্স ফ্রী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান শুরু করি।
৩০০/৫০০টাকা ভর্তি ফি নিয়ে তিন মাস করে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করিতাম। এভাবেই চিন্তাভাবনা শুরু করি কিভাবে একজন গরীবের শিশুকে বিনা খরচে মেধানুযায়ি শিক্ষা ব্যবস্থা করা যায়। এদেশ ডিজিটাল হওয়ায় আমার চিন্তাভাবনা বা গবেষণার বাস্তবায়ন সম্ভব হয়। তখন ২০১১ইং সালে আমি একটি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম।
সামাজিকভাবে আনুষ্ঠানিক আলোচনা সভা করে সিদ্ধান্ত নেয়েছি, যে প্রতিষ্ঠানে গরীব ও শ্রমিকের শিশুদের সম্পূর্ণ বিনা খরচে মেধানুযায়ি শিক্ষা ব্যবস্থা করা হবে।
আর তাই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহযোগীতায় আমার পিতা কিছু অর্থ-সম্পত্তি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দান করেন আমার প্রতিষ্ঠানের নামে। জমি দাতা সুত্রে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল মিল/ জোবায়ের স্পিনিং মিল/ভিনটেজ ডেনিম মিল/সাবলাইম/মিরাকেল/মাস্টার প্যাক/টেকনু। উক্ত ফ্যাক্টরিগুলোতে আমার পিতা জমি দাতা এবং সবগুলো ফ্যাক্টরির ভিতরে জমি আছে যা মালিকগন সাবরেজিস্টার করে নেননি। বিধায় ফ্যাক্টরির মালিকগন আমার আব্বাকে বিনিময়ে জুটের ব্যবসা দিয়ে রাখেন। যে ব্যবসা আত্নসাতের লালসায় আমার আত্মীয়স্বজন ও বড় দুইভাই জঘন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেন। তখন ব্যবসা সহ সকল প্রকার অধিকার আমার প্রতিষ্ঠান “শেখ সিরাজ জনশক্তি আন্তর্জাতিক জ্ঞানকেন্দ্র” এর নামে দান করে দেন।
যাতে করে হতদরিদ্র গরীব ও শ্রমিকের শিশুদের বিনা খরচে মেধানুযায়ি শিক্ষা ব্যবস্থায়, আমার প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে স্থায়ী সামর্থ্য পেতে পারে। আমরা তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে আমি সবার ছোট বিধায়, আমার প্রতি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করে। একেক করে আমার একাধিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থ-সম্পত্তি ভাংচুর, লুটপাট ও জবরদখলে আত্মসাৎ করে নিয়েছে প্রকাশ্য। আমার মাকে বাধ্যবাধকতায় বাদী করে, একের পর এক মিথ্যা মামলায় আটকিয়ে রাখে আমায় জেলখানায়। শেষ দুইবার ম্যাজিস্ট্রেট স্যার আমাকে জেলখানা থেকে বের করে দেন নিজেরাই জামিনে।
আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোথাও কোন প্রকার সহযোগিতা পাইনি। কারন তাদের পেছনে ভয়ানক অপশক্তি কাজ করছে। যে অপশক্তি আ’লীগ নামধারী কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজ ভূমিদস্যু সালাউদ্দিন সরকার। যার নির্যাতন আর জবরদখলে শত শত পরিবার বসতভিটা, ফসিল জমিন, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হারিয়েছে।
কিছু সংখ্যক নির্যাতিত পরিবার সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, জাতীয় পত্রিকা সহ অসংখ্য পত্রিকায় সংবাদ প্রচার করেও উক্ত সন্ত্রাসীকে বিচারের আওতায় আনতে পারেনি। বরং আরো অধিকতর নির্যাতিত হতে হয়েছে।
যা দেখে সর্বস্তরের জনগণ স্তব্ধ ও বিস্মিত। প্রায় চার শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে একটি হিংস্র বাহিনী গড়েছে। রামরাজত্ব কায়েম করেছে। অপহরণ, গুম,খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, মাদক বানিজ্য, ভাংচুর, লুটপাট, জবরদখল সহ এহেন কোন অপকর্ম নাই যা উক্ত বাহিনী করে না।
গুগলে (ভূমিদস্যু সালাউদ্দিন সরকার) লিখে সার্চ করলেই যে কারো চোখ কপালে উঠবে শুধুমাত্র পত্রিকা নিউজ গুলো পড়লেই। দুইযুগ ধরে আমি উক্ত সন্ত্রাস বাহিনীর মাধ্যমে নির্মমভাবে নির্যাতিত হচ্ছি। আমার বড় ভাইবোন ভূমিদস্যু সালাউদ্দিন সরকারের গোলামী কিনেছে, যেভাবে স্থানীয় প্রশাসন গোলামী কিনেছে।
উক্ত সন্ত্রাসীর কালো টাকার পাহাড়ের কাছে সবারই বিবেক বিকিয়ে গোলামী কিনে নেয়। পিতার মৃত্যুর প্রায় পাঁচ বছর। ভাই-বোন সকলেই পৈত্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থ-সম্পত্তি বুঝে নিয়েছে এবং ভোগদখল করছেন।
শুধু আমাকে এখনো কোন কিছু বুঝিয়ে দিতে টালবাহানা করছেন। আমাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। এসব কিছুর যথেষ্ট তথ্য প্রমান আমার কাছে আছে। আমার একাধিক ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল। আমার বাড়ি আমার খামার ছিল। যেথায় ভূমিদস্যু সালাউদ্দিন সরকারের বানোয়াট দলিলে ভূয়া প্রতিষ্ঠানের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়েছে। অগ্রনী ব্যাংক রমনা কর্পোরেট শাখা থেকে। এমনকি মধ্যযুগীয় বর্বরোচিত ইন্দ্রজালে আমাকে পারিবারিকভাবে ব্লেকমেইল করছে অবিরত। সবকিছুই অবৈধভাবে নিয়ে যাওয়ার পরও আমার একাধিক বাড়ি আছে, মার্কেট আছে, এমনকি আমার স্ত্রীকেও একটি বাড়ি সাবরেজিস্টার করে দিয়েছি। তারমানে এখনো আমার দখলে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ আছে।
যেগুলো হয়তোবা যেকোন অবৈধ উপায়ে জবর দখলে নিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি। যেভাবে ভূমিদস্যু সালাউদ্দিন সরকার বানোয়াট দলিলে আমার প্রতিষ্ঠানের জমি, যানাজার ও ঈদ গাহের মাঠ জবরদখল করার চেষ্টায় আমাকে নির্যাতন করছে। এমন জঘন্য বর্বরোচিত গোত্রের মধ্যে আমরা সুষ্ঠভাবে বেঁচে থাকাটাই দুঃসাধ্য ব্যাপার। অর্থাৎ আমার বংশ একটি মাদক বানিজ্যের সিন্ডিকেট। তাদের মাদক বানিজ্যের প্রভাবে আমার সমাজ ধংসের শেষ প্রান্তে। ঘরে ঘরে মাদকের বানিজ্য যেন একটি চমকপ্রদ ব্যবসা।
বিষয়টি সর্বস্তরের মানুষের এবং প্রশাসনের সুস্পষ্টভাবে জানা। অথচ নাগরিক অধিকারে আমার স্বাধীনতা আছে। যা আমি উপভোগ করার সুযোগ করতে পারছি না।
আমাকে যারাই সমর্থন করেছেন আকস্মিকভাবে তারাই মারা গেছেন এবং অনেকে মামলা খেয়েছেন। যেমন_ আমার চাচা, চাচাতো ভাই এবং আব্বা মারা গেছেন এবং আমার শাশুড়ী সহ বন্ধুবান্ধব মামলার আসামী হয়েছেন। তাই ভয়ে এখন আমাকে কেউ সহযোগিতা করতেও সাহস করে না। আমি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আর কাউকে হারাতে বা নিজেও ধংস হতে চাই না।
যেভাবে ধংস করেছিল আমার সাজানো সংসার। যা আমি অক্লান্ত পরিশ্রমে পুনরায় গড়েছি। আমাকে কারাবন্দী করে রাখে চারমাস। আমার স্ত্রীকে গৃহবন্দী রেখে বংশগত নির্মমভাবে ধর্ষণ করে এবং অসংখ্য ভিডিও ধারন করে ব্লেকমেইল করতে থাকে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে সারারাত থানায় আটকিয়ে রেখে জোরপূর্বক নাটকীয় অভিযোগে স্বাক্ষর নেয়।
এতেই থেমে থাকেনি_ আমার বসতবাড়ি পুড়ে ছাই করে, আমাকে বাড়ি পুড়া মামলায় কারাবন্দী করে। গত ১৩/০৮/২০২২ইং তারিখে আমাকে অপহরণ করে চারমাস জিম্মি রাখে। যেসকল উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ আমার কাছে সংরক্ষিত। নিজের অপারগতা আর রাষ্ট্রীয় প্রশাসনি ব্যর্থতায়_ নিজের প্রতিবেদন নিজেকেই তৈরি করতে হয়েছে বাধ্যবাধকতায়।
যাহোক এদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত জীবনে একটা কিছু করার মতো মেধা ও সামর্থ্য আমার আছে। বড় ভাই বিএনপির নাট্য সম্পাদক নজরুল নেতা নারীর নেশা, নাটক, যাত্রা, হাউজি,সার্কাস সহ জুয়ার মতো জঘন্য খেলাধুলায় মত্ত এবং সামাজিকভাবে সকল অপকর্মের অর্থ কমিশন খাওয়া গডফাদার।
মেঝুভাই বিএনপির অস্রধারী ক্যাডার ছিল। বর্তমান কুখ্যাত মাদক ডিলার। বড় দুইভাই ভূমিদস্যু সালাউদ্দিন সরকারের শ্রীপুর উপজেলার সেনাপতি অপকর্মের। আমি অতি সামান্য লেখাপড়া করেছি। তাই দুইযুগের অমানবিক ও নির্মম নির্যাতনে অতিবাহিত করা জীবন ব্যবস্থার বিস্তারিত কিভাবে সারসংক্ষেপ সাজাবো বুঝতে পারছি না। সকল প্রকার ভুলের জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী।
সবশেষ তদন্তের একটি মানবিক নির্দেশ প্রাপ্তির আশাবাদী হয়ে সমাপ্তির দিকে যাচ্ছি। এবং আমার ৩৮হাজার স্কয়ার ফিট জমিতে শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের প্রতিষ্ঠান “শেখ সিরাজ জনশক্তি আন্তর্জাতিক জ্ঞানকেন্দ্র” সহ সামাজিক ঈদগাহ ও যানাজার নামাজের মাঠের অনুমোদন দাবি করছি। যা আমার সারা জীবনের স্বপ্ন, লক্ষ্য ও গন্তব্য। যে সম্পত্তিতে একমাত্র দাবিদার বানোয়াট দলিলে ভূমিদস্যু সালাউদ্দিন সরকার। আর তাই শত শত নির্যাতিত পরিবারের মুক্তির দাবিতে_সারা জীবনের অর্জিত ফাইলটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার সামনে উপস্থাপন করতে একবার সরাসরি সাক্ষাৎ করার জোরদার আবদার হতভাগ্য অতিসাধারণ একজন জনতার।
মানবজাতির কল্যাণের প্রয়োজনে, এদেশকে শিশুদের বসবাসের উপযোগী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কাজে অংশগ্রহণে, আমার পিতার দান করা ১কোটি এবং ৬০লক্ষ টাকার দুটি চেক সহ সকল প্রকার কাগজপত্রের অধিকার ফিরে পেতে_ দুই যুগের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ নিতে_ দেশ ও জাতির কল্যাণের তরে আমার বৈধতা পাওয়ার একটি মানবিক নির্দেশ প্রাপ্তিতে আপনার সাক্ষাৎ অতি জরুরি ।
সেই সাথে শত শত পরিবারকে কুখ্যাত সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজ ভূমিদস্যু সালাউদ্দিন সরকারের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দিতে, উক্ত সন্ত্রাস বাহিনীকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে, নাগরিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনায়___ইতি,
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অতি সাধারণ একজন নির্যাতিত নাগরিক_
শফিকুল ইসলাম,
পিতাঃ মৃত, সিরাজুল ইসলাম,
সাং_বেড়াইদের চালা, শ্রীপুর, গাজীপুর।
মোবাইল নাম্বার_০১৯২৪-১৭১৬৩৯