শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৫ অপরাহ্ন
এম আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী :
দেশের ট্যানারি শিল্পের উন্নতি নিশ্চিত করার জন্য এক সামাজিক সংলাপে বক্তারা বলেছেন, সুষ্ঠু শিল্প সম্পর্ক শিল্পের ভাবমূর্তি, ব্রান্ডিং, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং কারখানার শোভন কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিল্প সম্পর্ক উন্নয়নে মালিক-শ্রমিকের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ অপরিহার্য।
গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাকার একটি হোটেলে দেশের ট্যানারি শিল্পের উন্নতি নিশ্চিত করার জন্য শিল্প সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক এক সামাজিক সংলাপে বক্তারা এই অভিমত প্রকাশ করেন।
দ্যা এশিয়া ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ) আয়োজিত সংলাপে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন স্টেট ইউনিভারসিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. হাসনাত এম আলমগীর এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দ্যা এশিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক সাদাত এস শিবলী।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তরা বলেন, শিল্প সম্পর্ক উন্নয়নে মানব সম্পদ উন্নয়ন ও প্রসাশনে কার্যকর ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা, কার্যকর যোগাযোগা নীতিমালা তৈরী ও চর্চা করার পাশাপাশি নেতৃত্বের ধরণ এবং কারখানা পর্যায়ে বিভিন্ন ধরণের আচরণ বিধি উন্নয়ন করতে হবে।
আলোচনায় বক্তারা উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ভাল দিকগুলি উপস্থাপন করেন। বক্তারা বলেন, পোশাক শিল্পের ন্যায় ট্যানারি শিল্পের মালিক এসোসিয়েশন, ট্রেড ইউনিয়ন এবং শ্রমিকের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি করা এবং শ্রম আইন মেনে চলা, আস্থার সংকট দূর করা। চামড়া শিল্পের সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে সরকার অনুমোদিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও নিয়মিত সংলাপ করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের পাশাপশি উন্নয়ন সংস্থাকে কাজ করতে হবে। এই আলোচনার মাধ্যমে ট্যানারি সেক্টরে সুষ্ঠু শ্রম সম্পর্ক বিষয়ে আলোচনা হয়।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রতিনিধি এবং আলোচকগণ শিল্পে শ্রম সমস্যা সমাধানের জন্য কারখান পর্যায়ে দ্বি-পাক্ষিক আলাপ-আলোচনার সংস্কৃতি তৈরি করা ও দায়িত্বপূর্ণ আচার- আচরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া সংলাপে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ শ্রমিক নেতা ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, শ্রম অধিদপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর মাসুদা সুলতানা, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক ডা. নাজমুন নাহার, বিএলএফ সেক্রেটারী জেনারেল জেড এম কামরুল আনাম, বিএলএফ, ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, দ্যা এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. তাহেরুল ইসলাম প্রমুখ।