ছাতক উপজেলা প্রতিনিধিঃ
ছাতকে লায়েক মিয়া হত্যাকান্ড নিয়ে একটি বিশেষ গোষ্টি লাশের রাজনীতি শুরু করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ছাতক-দোয়ারার আওয়ামলীগ নেতৃবৃন্দ।
তাদের অভিযোগ একটি অনাকাংখিত হত্যাকান্ডের সুষ্ট বিচার ব্যবস্থাকে বাধা গ্রস্থ করতে জনপ্রতিনিধি, আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের এ হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। শ্রেফ রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার জন্য এ মহল অতীতের ন্যায় আবারো ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
মানববন্ধনের নামে সিলেট বিভাগের সবচেয়ে জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি, ছাতক-দেয়ারা থেকে বার-বার নির্বাচিত এমপি মুহিবুর রহমান মানিককে জড়িয়ে মিথ্যাচার ও আপত্তির বক্তব্য দিয়ে শান্ত ছাতক-দোয়ারাকে অশান্ড করে তোলার পায়তারা করছে। ভভিষ্যতে তাদের এসব ষড়যন্ত্র ও অনুরূপ কাজ বন্ধ না করলে ছাতক-দোয়ারাবাসীকে নিয়ে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
লায়েক মিয়া হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্র মূলকভাবে আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মী ও নিরপরাধ ব্যক্তিদের জড়ানো এবং সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিককে জড়িয়ে প্রতিহিংসামুলক ও মানহানীকর বক্তব্যের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে শহরের মড়ল কমিউনিটি সেন্টারে ছাতক-দোয়ারা ও পৌর আওয়ামীলীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাতক পৌর আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক, সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহিদ মজনু।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হয় শহরের মন্ডলীভোগ এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের পুত্র লায়েক মিয়া।
চিহ্নিত এ খুনীর দৃষ্টান্তমুলক আইনী ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে সর্বস্থরের মানুষ আশাবাদী হয়ে উঠেছিল। কিন্তু ঘটনার ৩ দিন পর মূল ঘটনাকে আড়াল করে নিহতের ভাই আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
মামলায় উদিয়মান রাজনীতিবিদ মুহিবুর রহমান মানিক এমপির ভাতিজা ইসতিয়াক রহমান তানভির, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক, পৌরসভার প্যানেল মেয়র তাপস চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবলীগের সাবেক নেতা সাদমান মাহমুদ সানি, ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন সহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের আসামী করায় সাধারন মানুষ হতভাগ হয়ে পড়েছে। মামলার বাদী একটি মহলের বশিভুত হয়ে নিরপরাধ মানুষকে মামলায় জড়িয়ে হত্যাকান্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়।
ছাতক-দোয়ারা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে এ হীন অপচেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়। সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে লায়েক মিয়া হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, দোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান তানভির আশরাফী বাবু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আলী বীর প্রতীক, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ আহমদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আনোয়ার রহমান তোতা মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাদাত লাহিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপি বেগম, দোয়ারা উপজেলা মহিলা ছালেহা বেগম, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল খালিক, সায়েদ মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন মাষ্টার, বিল্লাল আহমদ, আবু বক্কর সিদ্দীক, আহমদ আলী আপন, ইজ্জত আলী, মিলন খান, আব্দুর ওয়াহিদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির, মুরাদ হোসেন, কাজী আনোয়ার মিয়া আনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নিজাম উদ্দিন বুলি, লাল মিয়া, আমির আলী বাদশা, আওয়ামীলীগ নেতা চান মিয়া চৌধুরী, মুশাহিদ আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা বাবুল রায়, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা আনিসুর রহমান চৌধুরী সুমন, সামছুজ্জামান রাজা, আফজাল হোসেন, এড. আশিক মিয়া, আফতাব উদ্দিন, আব্দুল আওয়াল, এড. ছায়াদুর রহমান ছায়াদ, আজমান আলী, আবুল হাসনাত, আব্দুল খালিক, পীর মোহাম্মদ আলী মিলন, মুজিব মালদার, আব্দুস সহিদ, মতিউর রহমান, ফয়জুল বারী, কাচা মিয়া, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আছাব মিয়া, যুবলীগ নেতা হাজী জয়নাল আবেদীন, আব্দুল মালিক মেম্বার, বিমান ঘোষ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাবেক সভাপতি সহিদুল ইসলাম সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।