শোয়েব হোসেন ---
গত শনিবার ১৭/০৪/২৩ ইং বিকেল ৫ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ২নং রেলগেট পেড়িয়ে যাওয়ার সময় পিছন থেকে অজ্ঞাত একটি ছেলে হঠাৎ করেই ধারালো লোহার ছুরি দিয়ে চলমান একটি অটোরিকশার ২টি চাকা ফুটো করে দেয়। গাড়িতে থাকা চারজন যাত্রী তৎক্ষনাৎ গাড়ি থেকে নেমে নিরাপদ দুরত্বে চলে যায়।নানান অপরাধ মুলক বিচিত্র ঘটনা তখন ধরা পড়ে।
এমন ঘটনায় মুহুর্তেই রিক্সাচালক কান্নায় বুক ভাসিয়ে ওই ছেলেটির কাছে গিয়ে বলে, " কি অপরাধ ছিল ভাই আমার, এই রিস্কার চাকা ২টা তুমি ফুটো কইরা দিলা! কিছুক্ষণ আগে একটি চাকা ফুটো করছো সেটা ঠিক করছি। এখন দুটো চাকা আবার ফুটা কইরা দিলা এখন আমি কেমনে ঠিক করি? আমার পকেটে নাই টাকা। এখন আমি কি দিয়া এই রিস্কা ঠিক করি! মালিকরে ৪০০ টাকা জমা দিতে হয় প্রতিদিন। যদি জমা না দিতে পারি মালিক কি গাড়ি দিবো? তুমি আমার পেটে লাথি কেন দিলা ভাই "এসব কথা বলে অসহায়ের মতো মাটিতে বসে মাথায় হাত দিয়ে অটো রিক্সা চালক। কিন্তু তবুও যেন কিছুতেই গলছে না সেই চাকা ফুটো করা ছেলেটির পাষান মন। তাকে কোন জবাব না দিয়েই সেখান থেকে সটকে পড়ে।কে শোনে কার কান্না!
ঘটনাক্রমে তখন একজন সাংবাদিক এগিয়ে এলে রিক্সা চালক কান্নায় আরো ভেঙে বলে ওঠে " ভাই, ওরা আমার পেটে লাত্থি দিল! আমি গরিব মানুষ, কি দিয়া এখন এই চাকা গুলা ঠিক করি? আমার তো কোন সামর্থ্য নাই। এখন আমি যে ঠিক করতে পারলাম না তাই আমার বাবা-মা না খাইয়া থাকবো। আমি আইজ মনে হয় বাবা-মার মুখে খাবারও দিতে পারলাম না!
তখন উক্ত সংবাদকর্মী সংশ্লিষ্ট পুলিশ বক্সে রিকশাচালককে নিয়ে গেলে অপ্রত্যাশিত ভাবে রিক্সা চালকের ওপর হামলা চালায় সেখানকার একটি দাপুটে কুচক্রী মহল। সেই সাথে ট্রাফিক পুলিশও যোগ দিয়ে ঊক্ত ড্রাইভারকে টেনে নিয়ে ভয়-ভীতি দেখায় এবং পুলিশেরা সংবাদকর্মীকে ভিডিও ফুটেজ ডিলেট করার জন্য চাপ দেয়। কয়েকবার সংবাদ ভিডিও ফুটেজ ডিলিট করার জন্য পুলিশ সদস্যরা এসে কয়েকজন মিলে সংবাদকর্মীর উপর ক্ষিপ্ততা প্রকাশ করে বলেন, ভিডিও ফুটেজ না ডিলিট করলে কোন মতেই ঐখান থেকে সেই সাংবাদিককে যেতে দেবে না। অবশেষে ভয়ানক হুমকির মুখে বাধ্যগত ভাবে ভিডিও ফুটেজ ডিলিট করা হয়।তখন উক্ত অপরাধ চক্র ও তাদের প্রধান সহযোগী পুলিশেরা সকলেই নিজ নাম ও পরিচয় জানাতে নারাজ ছিলেন।
এমন ঘটনায় অনেক পথচারী নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের এসব অনিয়ম ও অপকর্ম দেখে বহুলোক ছি ছি করেছেন। অবশেষে জানা গেছে, ইব্রাহিম নামের এক ব্যক্তি তাদেরকে এমন দায়িত্ব দিয়েছে বিধায় একটি অনিষ্টকারী মহল উক্ত এলাকায় দাপটের সাথে বিভিন্ন রিকশার চাকা ফুটো করা সহ বহুল অপরাধ মুলক কর্মকান্ডে লিপ্ত ।সামান্য কিছু ছবি গোপন রাখা সম্ভব হয়েছিল যার ফেসবুকে প্রচার চলমান।
পরবর্তীতে সংবাদ লেখা ও প্রকাশের আগ মুহুর্তে গোপন সুত্রে জানা যায়,উক্ত এলাকায় পুলিশ প্রশাসন সহযোগে একটি ভয়াবহ দাপুটে কুচক্রী মহল তখনও নিয়মিত বহুবিধ অপরাধ ও আয় রোজগারের সাথে জড়িত! এদের দেখা বা বাধা দেয়ার যেন কেউই নেই। এই সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে স্থানীয় প্রভাবশালি ও সচেতন মহল সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষন করা হচ্ছে।