নিজস্ব সংবাদদাতা:
ঈশ্বরদীতে মাদক ব্যবসায়ীকে আটককে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শেখ ফয়সাল মিঠুর ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। আজ (বুধবার) দুপুরে ঈশ্বরদী শহরের ফতেমোহাম্মাদপুর মেইলপট্টি আব্দুলের পাখির দোকানের সামনে ঘটনা ঘটে।
আটক মাদক ব্যবসায়ীর নাম নুরুল ইসলাম সন্টু (৪৭)। তিনি বিএনপির সহযোগি সংগঠন ঈশ্বরদী পৌর ৫ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি শহরের ফতেমোহাম্মাদপুর হাসপাতাল মোড়ের মোঃ নান্নার ছেলে। পুলিশ এই সময় সন্টুর নিকট থেকে ৩৭ বোতল ফেন্সিডিল ও ৪৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুর রউফ জানান, ঘটনার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফাঁড়ির এএসআই মোঃ সবুজ আলী, এএসআই নুরুন্নবীসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঈশ্বরদী শহরের ফতেমোহাম্মাদপুর মেইলপট্টি আব্দুলের পাখির দোকানের সামনে অভিযান চালানো হয়।
নুরুল ইসলাম সন্টুকে আটক করে ৩৭ বোতল ফেন্সিডিল ও ৪৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। মাদক ব্যবসায়ী সন্টুকে গাড়িতে উঠানোর সময় কোথায় থেকে শেখ ফয়সাল নামের এক যুবক এসে মাদক ব্যবসায়ী সন্টুকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায় আশেপাশে থেকে অন্যান্য সদস্যা এগিয়ে গেলে ফয়সাল ধস্তাধস্তি বন্ধ করে চলে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শেখ ফয়সাল মিঠু ঈশ্বরদী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। ফয়সালের বাবার নাম মোঃ আকবার আলী। তিনি ১৯৭১ সালে আটকেপড়া অবাঙ্গালীদের নেতা।
আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুর রউফ জানান, পুলিশের নিকট থেকে আটক মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড়িয়ে নিতে ফয়সাল পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেছে। বিষয়টি ওসি, ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্যারকে অবগত করা হয়েছে। ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লব জানান, শেখ ফয়সাল ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
পুলিশের সঙ্গে যদি ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে তবে সেটা দুঃখজনক। তবে ফয়সাল মাদক ব্যবসা করে কি না আমার জানা নেই। এই বিষয়ে ঈশ্বরদী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শেখ ফয়সাল মিঠু মাদক ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম সন্টুকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনাটি সঠিক নয় দাবী করে জানান, ঘটনার সময় আমি এলাকার বাসিন্দা হিসেবে শুধু পুলিশের নিকট জানতে চেয়েছি কেনো সন্টুকে আটক করা হয়েছে।
এর বেশি কিছু নয় বলে দাবী করেন ফয়সাল। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)অরবিন্দ সরকার জানান, ঈশ্বরদীতে মাদক ব্যবসায় সব দল মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ মাসুদ আলম জানান, মাদকের সঙ্গে কোন আপোস নেই।
মাদক মামলার আসামীকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির বিষয়টি দুঃখজনক। এই বিষয়ে অবশ্যয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।