বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি–
আজ পবিত্র জুম্মাবার সকাল ৯.৩০টার দিকে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কয়া বাঁশবাড়ির বায়তুস সালাম রোডে একটি বাড়ির নামকরণ করা হলো “আব্বুর স্মৃতি-কুঞ্জ”। মরহুম আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন মোল্লার স্মরণে তার মৃত্যুর প্রায় ১০ বছর পর মরহুমের স্মৃতি অম্লান রাখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উক্ত মরহুম ব্যক্তি জীবনে একজন সৎ ধার্মিক বিনয়ী ও পরোপকারী ছিলেন। তিনি প্রাক্তন রেলওয়ে কর্মকর্তা (ইঞ্জিনিয়ার) ছিলেন। সারা জীবন তিনি গোপনে বহু অসহায় ও দরিদ্র মানুষের নিঃস্বার্থভাবে উপকার করতেন যা প্রায় সকলেরই অজানা। বার্ধক্য ও ডায়াবেটিস জনিত কারণে তিনি গত ০৫/০৭/২০১৩ ইংরেজি তারিখে (রোজ শুক্রবার) তার উক্ত বাসভবনে হঠাৎ ইন্তেকাল করেছিলেন এবং সৈয়দপুরের হাতিখানা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছিল।
আরো জানা যায়,মরহুমের রেলওয়েতে চাকরির সুবাদে প্রায় ৩২ বছর আগে সৈয়দপুরে আসা হয়েছিল সপরিবারেই ।তারা ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার আদিবাসী হলেও পরবর্তীতে উক্ত এলাকার সমাজ, পরিবেশ এবং মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও আস্থা সৃষ্টি হওয়াতে এক পর্যায়ে এখানে স্থায়ী ভাবে বসতি গড়েছিলেন ।
মরহুমের স্মৃতিচারণ সম্পর্কে তার ছেলে শোয়েব হোসেন মোল্লা বলেন,আমি জীবিকার তাগিদে ঢাকা থাকি বিধায় এখানে খুব কম আসা হয়। আব্বু নেই কিন্তু আমি সব সময় তাকে অনুভব করি। এই বাড়ির আঙিনা ও উঠান সহ সবখানেই তার স্মৃতি যেন লেগেই আছে। সময় ও পরিবেশের ব্যবধানে তার স্মৃতিযুক্ত কোন কিছুই যেন অম্লান হতে না পারে তাই তার ভালোবাসার টানে নিজ উদ্যোগে বাসার হোল্ডিং প্লেটের সাথেই তার নাম স্মৃতি একত্র করে জুড়ে দিলাম। আজ আমরা যাই করছি বা যতটুকু ভালো আছি সবই আব্বুর অবদান। তিনি আমাদের স্মৃতিতে চির জাগ্রত। মহান আল্লাহ পাক আব্বুকে ওপারে বেহেশতের সর্বোচ্চ মোকামে রাখুন এই প্রার্থনাই আজীবন করি। আব্বুর জন্য সবার কাছে মনে প্রাণে দোয়া কামনা করছি।
এলাকার স্থানীয় মহল মরহুমের প্রতি তার পরিবারের পক্ষ থেকে এই ভালোবাসা ও অনুরাগ প্রদর্শন করায় তাদেরকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
ইনসেটে উক্ত মরহুম হোসেন মোল্লা,নেমপ্লট সহ তার সহধর্মিণী হাজ্বী রোকেয়া হোসেন কে দেখা যাচ্ছে।