বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
তুরাগের বউবাজারে ফুডকোর্ট মার্কেট উচ্ছেদের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত  ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ কর্তৃক ছয়টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ম্যাগাজিন ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার; তিন শূন্যের ধারণার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবী গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার তুরাগের বউবাজার মার্কেট উচেছদের প্রতিবাদে মানববন্ধন ট্রাম্পের সঙ্গে ‘দ্বন্দ্ব’ মিটিয়ে ফেলতে পারবেন ড. ইউনূস সেনাবাহিনী কত দিন মাঠে থাকবে’ সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে  প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্স’র কার্যকরি কমিটি (২০২৪-২০২৬)গঠন ১০ নভেম্বর ২০২৪ শহীদ নুর হোসেন গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মহানায়ক : ডা. ইরান রাজধানী,তুরাগে ছেলের হাতে মা খুন অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না ডয়চে ভেলেকে বলেন, 

সৈয়দপুরে বাড়ির নামকরণ হলো “আব্বুর স্মৃতি-কুঞ্জ”

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

নিজস্ব প্রতিনিধি–

 

আজ পবিত্র জুম্মাবার সকাল ৯.৩০টার দিকে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কয়া বাঁশবাড়ির বায়তুস সালাম রোডে একটি বাড়ির নামকরণ করা হলো “আব্বুর স্মৃতি-কুঞ্জ”। মরহুম আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন মোল্লার স্মরণে তার মৃত্যুর প্রায় ১০ বছর পর মরহুমের স্মৃতি অম্লান রাখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উক্ত মরহুম ব্যক্তি জীবনে একজন সৎ ধার্মিক বিনয়ী ও পরোপকারী ছিলেন। তিনি প্রাক্তন রেলওয়ে কর্মকর্তা (ইঞ্জিনিয়ার) ছিলেন। সারা জীবন তিনি গোপনে বহু অসহায় ও দরিদ্র মানুষের নিঃস্বার্থভাবে উপকার করতেন যা প্রায় সকলেরই অজানা। বার্ধক্য ও ডায়াবেটিস জনিত কারণে তিনি গত ০৫/০৭/২০১৩ ইংরেজি তারিখে (রোজ শুক্রবার) তার উক্ত বাসভবনে হঠাৎ ইন্তেকাল করেছিলেন এবং সৈয়দপুরের হাতিখানা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছিল।

আরো জানা যায়,মরহুমের রেলওয়েতে চাকরির সুবাদে প্রায় ৩২ বছর আগে সৈয়দপুরে আসা হয়েছিল সপরিবারেই ।তারা ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার আদিবাসী হলেও পরবর্তীতে উক্ত এলাকার সমাজ, পরিবেশ এবং মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও আস্থা সৃষ্টি হওয়াতে এক পর্যায়ে এখানে স্থায়ী ভাবে বসতি গড়েছিলেন ।

মরহুমের স্মৃতিচারণ সম্পর্কে তার ছেলে শোয়েব হোসেন মোল্লা বলেন,আমি জীবিকার তাগিদে ঢাকা থাকি বিধায় এখানে খুব কম আসা হয়। আব্বু নেই কিন্তু আমি সব সময় তাকে অনুভব করি। এই বাড়ির আঙিনা ও উঠান সহ সবখানেই তার স্মৃতি যেন লেগেই আছে। সময় ও পরিবেশের ব্যবধানে তার স্মৃতিযুক্ত কোন কিছুই যেন অম্লান হতে না পারে তাই তার ভালোবাসার টানে নিজ উদ্যোগে বাসার হোল্ডিং প্লেটের সাথেই তার নাম স্মৃতি একত্র করে জুড়ে দিলাম। আজ আমরা যাই করছি বা যতটুকু ভালো আছি সবই আব্বুর অবদান। তিনি আমাদের স্মৃতিতে চির জাগ্রত। মহান আল্লাহ পাক আব্বুকে ওপারে বেহেশতের সর্বোচ্চ মোকামে রাখুন এই প্রার্থনাই আজীবন করি। আব্বুর জন্য সবার কাছে মনে প্রাণে দোয়া কামনা করছি।

এলাকার স্থানীয় মহল মরহুমের প্রতি তার পরিবারের পক্ষ থেকে এই ভালোবাসা ও অনুরাগ প্রদর্শন করায় তাদেরকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

ইনসেটে উক্ত মরহুম হোসেন মোল্লা,নেমপ্লট সহ তার সহধর্মিণী হাজ্বী রোকেয়া হোসেন কে দেখা যাচ্ছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com