জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী।
নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়ান্নই গ্রামে এক দল ডাকাত কে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৬ ডাকাতকে ও ১ মহিলা ডাকাত কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যভহৃত ঘর ভাঙ্গার সরঞ্জামাদি, অস্ত্র ও ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেন পুলিশ ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, নোয়াখালী সদর উপজেলার দক্ষিণ মহতাপুর গ্রামের মো.মনির হোসেন (৪৫) ও তার স্ত্রী জুলেখা আক্তার (৩৫), নোয়ান্নই গ্রামের ইব্রাহিম খলিল (২১) আবুল কালাম (২২) রহমত উল্যা (৪৫) মো.জাবেদ(৩৮) জামালপুর গ্রামের মো.কামাল (৪৫)।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালের দিকে উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মহতাপুর গ্রাম থেকে ডাকাত দলের সর্দারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে, গত রোববার ৮ মে উপজেলার নোয়ান্নই,বিনোদপুর ও ১ নং চরমটুয়া এলাকায় ডাকাতি করার সময় অভিযান চালিয়ে আরো ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ডাকাত সর্দার মনিরকে গ্রেফতারের সময় ডাকাতদের পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ১টি সিএনজি জব্দ করা হয়। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে স্বীকার করে ডাকাতির সময় ব্যবহৃত অস্ত্র ও মালামাল তার হেফাজতে রয়েছে। মালামাল গুলো তার বসত ঘরের ড্রামের ভিতর রয়েছে। তার স্বীকারোক্তি মতে অস্ত্র-মালামাল পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে আসামি জানায় তার স্ত্রী মালামাল সম্পর্কে জানে। পরবর্তীতে তার স্ত্রী জুলেখা আক্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় ডাকাতির অস্ত্র ও মালামাল গুলো সে পার্শ্ববর্তী তার পিতার বসত বাড়ির উত্তর পাশে খড়ের আড়ার নিচে লুকিয়ে রেখেছে। তার তথ্য মতে একটি দেশীয় তৈরী পাইপগান, ১২টি কার্তুজ,২টি চাপাতি, ৩টি লোহার কোরাবারী, ১টি লোহার ছেনি,৩টি টর্চ লাইট, ৪টি মুখোশ জব্দ করা হয়।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটানয় দুটি মামলা হয়েছে। আসামিদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।