নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে এম সাজেদুল ইসলাম(সাগর)
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ৫ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করছে পুুশিল। আজ শুক্রবার ভোর রাতে জেলার কাহারোল উপজেলার কুশট গ্রাম থেকে পাঁচটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়,গত ১৬/০৫/২০২৩ সকাল ১১ টায় নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর থেকে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি মোঃ ইবনে মাসুদ (৪৩) এর একটি ডিসকভার ১০০ সিসি কাল সাদা রঙের মোটরসাইকেল চুরি হয়। ঘটনা পর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি চুরির মামলা করেন তিনি । ওই মামলায় ১৭/০৫/২০২৩ ভোর রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহাযোগিতায় গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর থানা এলাকা থেকে চুরি হওয়া উরংপড়াবৎ-১০০পপ মোটরসাইকেল উদ্ধার হয় । চুরির সাথে জড়িত থাকায় ৪ জন আসামীকে আটক করে নবাবগঞ্জ থানায় আনা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ১ জন বিজ্ঞ কোর্টে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক নিজের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।আটককৃতদের দেওয়া তথ্য মতে ১৯/০৫/২০২৩ ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে জেলার কাহারোল উপজেলার কুশট গ্রামের মৃত রাজেন্দ্রনাথ রায় এর ছেলে শ্রী গোবিন্দ চন্দ্র রায়ের বাড়ি থেকে পাঁচটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েগোবিন্দ চন্দ্র রায় পালিয়ে যায়।উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল গুলোর মধ্যে উরংপড়াবৎ-১৩৫পপ, পড়ষড়ৎ-নষধপশ নষঁব=২ টি,উরংপড়াবৎ-১২৫পপ, পড়ষড়ৎ-নষধপশ-ৎবফ =১ টি,উরংপড়াবৎ-১১০পপ, পড়ষড়ৎ-নষধপশ ৎবফ=১টি, ইধলধল ঈঞ ১০০পপ, পড়ষড়ৎ যিরঃব-ৎবফ=১ টি।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, গোবিন্দ চন্দ্র রায় দীর্ঘদিন ধরে চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয় বিক্রয় করে আসছে। তিনি আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোরদের সঙ্গে সমন্বয় করে বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাই মোটরসাইকেলগুলো সংগ্রহ করে ভুয়া কাগজপত্র, নম্বর প্লেট তৈরি করে চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রয় করে থাকেন। উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলগুলো বর্তমানে নবাবগঞ্জ থানা হেফাজতে রয়েছে। পুলিশের বিশেষ দলটি আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের সক্রিয় সদস্যদের গ্রেপ্তার করার জন্য চিরুনি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলগুলো বিধি মোতাবেক প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করা হবে।