সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৪ অপরাহ্ন
সিদ্ধিরগঞ্জ (২১’মে ২৩’ইং রোববার) ঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে মহাসড়কে চলছে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি। নারায়ণগঞ্জ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে বিভিন্ন পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন কাঁচপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সদস্য ডালিয়া আক্তার জহুরা। পর্দার আড়ালে রয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর হাইওয়ে থানার পাশেই বিভিন্ন যাত্রীবাহী পরিবহন থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। প্রতিটি গাড়ি থেকে ৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। পরিবহন শ্রমিকরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মারধর করা হচ্ছে। চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে একাধিকবার পরিবহন শ্রমিকরা আন্দোলন এমনকি মহাসড়ক অবরোধ করলেও এসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেননা কাঁচপুর হাইওয়ে ও থানা পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা দেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর মোড় ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর হাইওয়ে থানা থেকে ১০০ গজ পূর্বে প্রকাশে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের (রেজি: নং-১৭২৪) অর্ন্তভুক্ত নারায়ণগঞ্জ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং-২৩০২) এর সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ইউনিয়ন শাখার ব্যানারে রশিদের মাধ্যমে বিভিন্ন যাত্রীবাহী পরিবহন থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। রশিদে উল্লেখ রয়েছে, শ্রমিক ইউনিয়ন পরিচালনা ব্যয় ৩০ টাকা ও রোড শ্রমিক পরিচালনা ব্যয় ২০ টাকা। সংগঠনটির কাঁচপুর শাখার সভাপতি সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদরানা হলেও চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সহসভাপতি ডালিয়া আক্তার জহুরা। এলাকায় তিনি লেডি মাস্তান হিসেবে পরিচিত।
সুমন নামে একজন পরিবহন শ্রমিক জানায়, ৫০ টাকা চাঁদা না দিলে মারধর করা হয়। তাই বাধ্য হয়ে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হচ্ছে। একই অভিযোগ করেন সিলেটগামী একটি পরিবহন শ্রমিক সাদ্দাম।
এবিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে ডালিয়া আক্তার জহুরা বলেন, আমাদের সংগঠনের নামে ৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এ অর্থ অসহায় শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়।
চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে কাঁচপুর হাইয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (টিআই) ইব্রাহিমের ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে সহকারি উপ পরিদর্শক সাইদুল ইসলাম ফোন রিসিভ করে বলেন,স্যারকে অবগত করে এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সোনারগাঁ থানার ওসি মাহাবুব আলম সুমনের মোবাইল নাম্বারে এককাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।