রফিকুল হক শিকদার জাহাঙ্গীর
একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে মাঠপর্যায়ে রিপোর্টিংয়ের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা :
একটি রিপোর্টিংয়ে যথাযথ তথ্য প্রমাণ ছাড়াও Public engagement ( জন মানুষের সম্পৃক্ততা) যত বেশী থাকবে সেই রিপোর্টের সাকসেস রেট তত বেশী বাড়বে।
তবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বরাবরই বিপদজনক ও চ্যালেঞ্জিং কিন্ত এক্ষেত্রে রিপোর্টারের উপস্থিত বুদ্ধি ও কৌশল অনেকাংশে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে পারে। অনুসন্ধানী রিপোর্ট গুলো সাধারণত নির্দিষ্ট একটি পক্ষকে হিট করে। এক্ষেত্রে আপনার ব্যাকআপ হতে পারে সে পক্ষের এন্টি পার্টি গুলো। প্রবাদ আছে শত্রুর শত্রু আপনার বন্ধু। শত্রু বন্ধু আপনার শত্রু l আপনি যখন কোন কাউকে টার্গেট বানিয়ে রিপোর্টিংয়ের অনুসন্ধানে নামবেন তার আগে টার্গেট সম্পর্কে হোমওয়ার্ক করে নেয়া জরুরি৷ এক্ষেত্রে বাস্তবতা নির্ভর বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে l টার্গেটের বিরোধী গ্রুপগুলো বেশ ভালো সোর্স হিসেবে কাজে লাগবে। তবে এখানে উল্লেখ্য, "রিপোর্ট প্রকাশ হবার আগ পর্যন্ত ফিল্ড ইনভেস্টিগেশনে গিয়ে বা অন্য কোথাও আপনি কি বিষয়ে রিপোর্ট করতে যাচ্ছেন তার কোন ক্লু প্রকাশ করা যাবে না।"
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যগুলো আইনি ভিত্তিসহ বার বার ক্রসচেক করে দেখতে হবে। Supporting Documents (সম্পূরক তথ্য) হিসেবে যতো বেশী সম্ভব ফেস ভ্যালু থাকা মানুষজনের বক্তব্য সংগ্রহ করে রাখতে হবে। অনুসন্ধানের বিভিন্ন পর্যায়ে অনেকে ব্যক্তিগত ক্ষোভের জেরে টার্গেটের বিরুদ্ধে অনেক আবোল তাবোল মৌখিক তথ্য দেয়। আবেগের বশবর্তী হয়ে ভিত্তিহীন এসব তথ্যকে কোনভাবেই কাউন্ট করা যাবে না। রিপোর্ট প্রকাশ হবার পর বিভিন্নভাবে আপনাকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা হতে পারে। নানাভাবে আপনাকে বিব্রত বা বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলবে এখানেও কৌশল কাজে লাগিয়ে এসব বাধা পার করতে হবে। এছাড়া বাহির থেকে আচমকা আসা ইনফরমেশনের বিষয়ের ওপর রিপোর্ট প্রকাশের আগে বার বার খোঁজ নেবেন কারো স্বার্থে আপনি ব্যবহৃত হচ্ছেন কিনা ? সব সময় টার্গেটের চেয়ে ২ কদম এগিয়ে থাকতে হবে। রিপোর্টিং এর স্বার্থে আপনি বিভিন্ন গ্রুপকে ব্যবহার করবেন কিন্ত আপনি ভুলেও কোন গ্রুপের দাবার গুটি হবেন না l একটি ভালো রিপোর্ট যেকোনো পরিস্থিতিকে পরিবর্তন করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। কিন্ত সেক্ষেত্রে রিপোর্টে সব রকমের উপাদান থাকতে হবে। আর রিপোর্টারকে থাকতে হবে নিরাপদ।