শোয়েব হোসেন --
জামালপুরের মেলান্দহে গত ১৭ই জুলাই বেলা ১২ টায় মিজানুর রহমানের গাছ কেটে নেয়ার সময়ে সন্ত্রাসী বাহিনীকে বাঁধা দিতে গেলে প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে কুখ্যাত মতিউর বাহিনী।
জামালপুর জেলার চর সগুনা, মেলান্দহ উপজেলায় মিজানুর রহমানের বসতভিটার পাশেই নিজস্ব ১১৪ শতাংশ জমিতে বহু বছর ধরে মোখলেছুর রহমান গং ভোগদখল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থেকে চক্রান্ত স্বরূপ মিজানের বিরুদ্ধে থানায় জিডিও করেছিলো। সরেজমিনে তদন্ত করে পুলিশ মিথ্যে জিডি হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিলেন । সকল সন্ত্রাস ও বেদখল কার্যক্রম মতিউর বাহিনির ঈশারায় চলছে বলে জানা গেছে । এ বিষয়ে গত মাসে মো: মতিউর রহমান ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীদের বিষয়ে কয়েকটি প্রিন্ট পত্রিকা ও বেশ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় প্রতিবেদন দেখা যায়। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে মতিউর ও তার বাহিনিরা মিজানুর রহমানের ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় বলে জানা গেছে ।
সুত্রে জানা যায়,গত ১৭ জুলাই ২০২৩ইং আনুমানিক বেলা ১২ টায় মিজানুর রহমানের জমির গাছ কেটে নিয়ে যায় মতিউর(অব: সেনাবাহিনীর ট্রাফিক) ও তার সহযোগী ইমান আলী, মঞ্জুরুল, ফুলমতি বেগম, মোখলেছুর রহমান (মিল্টন)সহ আরও অনেকেই। সে সময় ঘটনাস্থলে মিজানুর রহমান গেলে তাকে মতিউর ও তার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও বুকে গুরুতর জখম করে রক্তাক্ত করে। এ ঘটনার সাথে সাথে এলাকাবাসী এসে মিজানুর রহমানকে নিকটস্থ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং তার চিকিৎসা পত্রে পুলিশ কেস লিখা হয়।। এদিকে প্রথমাবস্থায় মিজানুর রহমান মেলান্দহ থানায় মামলা করতে গেলে উক্ত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন হাসপাতালে চিকিৎসা করে কিছুটা সুস্থ্য হলে মামলা করার ব্যাপারে পরামর্শ দেন বলে জানা যায় ।
এলাকাবাসী জানায় এ সন্ত্রাস বাহিনীরা দীর্ঘদিন দিন ধরে মিজানের জমি দখল থেকে শুরু করে তাকে বিভিন্ন সময়ে হুঁমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল।এর পূর্বে গত ২৪ জুন ২০২৩ইং এই মতিউর ওত পেতে থেকে মো; মিজানুর রহমানকে একা পেয়ে পুরুষাঙ্গ জোরে চেপে ধরে আঘাত করে ও মেরে ফেলার হুঁমকি দেয় এবং মিজানুর রহমানের কাছে থাকা ৩ লাখ টাকাও ছিনিয়ে নেয়। এলাকাবাসী সংশয় প্রকাশ করে বলেন , আজ মিজানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করেছে। কাল হয়তো অন্যদেরও এভাবে জখম করবে। তাদের অত্যাচার যেন দিনকে দিন আরও ভয়ংকর রুপ নিচ্ছে !
এলাকাবাসী আরো জানান, "এই মতিউর বাহিনী শুধু মিজানের জমিই নয় এরা এলাকায় আরো অনেকেরই জমিজমা জবর দখল,সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সহ নানাবিধ সমস্যা ঘটিয়েই চলেছে । এদের বিরুদ্ধে অবশ্যই মামলা হতে হবে"।পরিশেষে এলাকাবাসী তাদের সকলকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান।এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার জামালপুর থানায় অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে ।