ডেক্স নিউজ:
বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগ জামাতকে ‘ধর্মীয় পর্যটন’ ঘোষণার দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজধানীর কাকরাইলে তাবলিগের মারকাজ মসজিদে সরকারি প্রশাসক নিয়োগেরও দাবি জানানো হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও কাকরাইলে তাবলিগের মারকাজ মসজিদের প্রধানকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এ নোটিশ পাঠান।
পর্যটকদের আগমনে বাংলাদেশের অর্থনীতি সারা বছর উপকৃত হবে।'
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে এই ব্যাপক সম্ভাবনাময় ধর্মীয় পর্যটনে প্রধান বাধা সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের অদক্ষতা এবং কিছু ধর্মীয় নেতাদের হিংসাত্মক কার্যকলাপ ও মানসিকতা। বাংলাদেশের অধিকাংশ ধর্মীয় নেতা ও আলেমরা ধর্মচর্চার পরিবর্তে রাজনীতিতে বেশি আগ্রহী। বাংলাদেশের অধিকাংশ ধর্মীয় নেতা ও আলেমরা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার চেয়ে মানুষের কাছ থেকে উপহার, দান বাবদ অর্থ নিতেই বেশি আগ্রহী। এছাড়া অধিকাংশ মসজিদের ইমাম মানুষের কাছে ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বক্তৃতা বা বয়ান করার পরিবর্তে দান-খয়রাতের উপকারিতার ব্যাপারে বক্তৃতা বা বয়ান করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এভাবে আমাদের অর্থনীতিতে একটি দুষ্ট চক্রের আবির্ভাব হয়েছে। অথচ সব নবী-রাসুল (সা.) নিজস্ব পেশা অবলম্বন এবং উপার্জন করতেন।’
বিশ্বের অন্যান্য দেশ পর্যটনকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, ‘কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশে ধর্মীয় পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও এখানে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি ঢুকে গেছে। বাংলাদেশে তাবলিগে ‘মাওলানা সাদ’ ও ‘মাওলানা জোবায়ের’ নামে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। এই দুই গ্রুপের সদস্যের মধ্যে বিবাদ ও সংঘর্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশে তাবলিগের কার্যক্রমের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বিশ্ব ইজতেমা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে।’
তাই নোটিশ প্রাপ্তির পর এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।