রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ন
ডেক্স নিউজ:
চট্টগ্রাম, ১৫ আগস্ট ২০২৩ ইং মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদন্ড প্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা পড়তে চট্টগ্রাম নগরীতে জড়ো হওয়া জামায়াত-শিবির কর্মীরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৩০জনকে আটক করা হলেও যাচাই-বাছাই চলছে বলে জানায় পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪ টার দিকে নগরের আলমাস সিনেমা হলের সামনে থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে কাজীর দেউড়ি মোড়, ওয়াসার মোড়, জিইসি মোড় ও লালখান বাজারসহ নগরের বিভিন্ন স্থানে তা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরীর ওয়াসা মোড় এলাকায় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে সাইদীর গায়েবানা জানাজা নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিল সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এরপর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জানাজার অনুমতি ছাড়া জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের আশপাশে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বিকেল থেকে জড়ো হতে থাকে। এসময় তারা অতর্কিত পুলিশের ওপর হামলা চালায়। আমাদের পূর্বপ্রস্তুতি থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে সেটা প্রতিরোধ করেছি। পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
তিনি জানান, বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ওয়াসা মোড় এলাকায় ফের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওয়াসার মোড়ে জামাত-শিবির কর্মীরা জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এসময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ ধাওয়া দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে জামায়াত শিবিরের অন্তত ৩০ নেতা কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, তারা সহিংসতার জন্য জড়ো হয়েছিল। জামায়াত-শিবিরের ৩০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে কোতোয়ালী থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আশপাশে থানা পুলিশও কিছু গ্রেফতার করতে পারে। মোট সংখ্যা এখন জানানো সম্ভব নয়। অনুমতি ছাড়া গায়েবানা জানাজা পড়তে জড়ো হওয়া জামায়াত-শিবির কর্মীরা অতর্কিত পুলিশের ওপর হামলা চালায় বলে তিনি জানান।
এর আগে যেকোনো ঘটনা এড়াতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে সাঈদীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর চট্টগ্রাম জেলা ও বন্দর নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।