রফিকুল হক শিকদার জাহাঙ্গীর
ঢাকা এবং গাজীপুর মিলিয়ে গড়ে উঠেছে ছোট বড় । এসব বস্তিতে নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাস। জনবহুল এ পাড়া মহল বস্তি গুলোতে গড়ে উঠেছে মদ, গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মরণ নেশা মাদকের বিশাল সম্রাজ্য। সেসব সম্রজ্যের একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করেছে নারী মাদক ব্যবসায়ীরা।
যাদের পিছন থেকে আশ্রয় দিচ্ছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে নেমে আসে লাঞ্চনা জুলুম নির্যাতন হামলা মামলা। এ যেন মাদকের নগরী তাই অনেকটাই অসহায় সাধারন মানুষ। সাম্প্রতিক কালে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের চলমান অভিযানে এমন চিত্র উঠে এসেছে। লাগাতার অভিযানে গ্রেফতার হচ্ছে চিহ্নত সব নারী মাদক কারবারি। অনুসন্ধানে জানা যায়, এরশাদনগর বস্তির মাদক ব্যবान করতেন বড় আপা খ্যাত পারুলী ও তার বোন পারভিন।
তাদের সহযোগী রয়েছেন লিপি, লাইলী, নার্গিস, সারমিনসহ আরো কয়েকজন। অপর একটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছে খালেদা যেমন উত্তর খান, দক্ষিণ খান, তুরাগ, উত্তরা পূর্ব,ও পশ্চিম, বিমানবন্দর , খিলক্ষেত সহ ।
https://youtu.be/1ODoGVKFcBM?si=bwIoZdWBQiyaZIji
অন্যদিকে গাজীপুর টঙ্গীর কেরানীর টেক বস্তির মাদক সম্রাজ্ঞী হিসাবে পরিচিত রাণী ও আকলিমা তাদের সহযোগী কুলসুম, বিলকিস, রংমালা, রহিমা, শিরিন, তাসলিমা, আমেনা, বেবী, কারিমা, স্মৃতি শহরজানসহ অনেক নারী
ভান্ডারী, শিল্পী, হনুফা, স্মৃতিসহ অনেকে। সম্প্রতি লিপি, খালেদা ভান্ডারী, শারমিন ও পারুলীসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে আইন শৃঙ্খলাকারী বাহিনী। জানিনে বের হয়ে তাদের কেউ স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেও বেশিরভাগই জড়াচ্ছে পুরোনো পেশায়। মাদকের হাট খ্যাত কেরানীর টেক বস্তির মাদক সংজ্ঞী হিসাবে পরিচিত রাণী ও আকলিমা তাদের সহযোগী কুলসুম, বিলকিস, রং মালা, রহিমা, শিরিন, তাসলিমা, আমেনা, বেবী, কারিমা, স্মৃতি শহরজানসহ বেশ কিছু নারী। এদের মধ্যে বেশীর নারী একাধিক বার জেল খেটেও এ ব্যবসার সাথেই জড়িত। ব্যাংকের মাঠ বস্তির
মোলো, রুজিনা, দিলজান, শারমিন, ম লাইলি, টুকুসহ বেশকিছু নারীই এ সম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও বেলতলা বস্তি, নামার বাজার, কলাবাগান, কড়ইতলা, নিশাত মহল্লা, জিন্নাত মহল্লার চিত্র প্রায় একই রকম। অপরদিকে হেরোইনের হাট খ্যাত হাজীর মাজার বস্তিতে গত কয়েক মাসের অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছে লাইলি, সালেহা, মিনাসহ বেশ কয়েকজন। এছাড়া পলাতক রয়েছে সরুপা মমতাসহ বেশ কয়েকজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীর অঞ্চলে মাদকের চাহিদা বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীর সংখ্যাও দিনদিন বাড়ছে। এছাড়া সাধারণ মানুষের সহনশীলতা বেশি হওয়ায় নারী মাদক কারবারির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ডিউটিরত নারী পুলিশ সদস্য না থাকায় অনেক সময় নারী মাদক কারবারীদের গ্রেফতার করতে অনেক বেগ পেতে হয়। এ বিষয়ে মেট্রোপলিটন টঙ্গী জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার মেহেদী হাসান দীপু বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যা সামনে আরো জোরদার হবে।