নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

শফিকুল ইসলাম, শ্রীপুর, গাজীপুর 

ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, রাজনৈতিক দল যার যার সরকার জনতার। আর তাই আমি একজন অতি সাধারণ নাগরিক হিসেবে মনে করি "সরকার জনতার সম্মিলিত উদ্যোগেই রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন হবে" এই শ্লোগানের নীতিমালায় সাধারণ নাগরিকদের পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সংগঠন গড়ে তুলা জরুরি। আমরা যারা সাধারণ নাগরিক রাজনীতিমুক্ত। আমরা সর্বস্তরের জনসাধারণের পর্যায়ক্রমে সমাজ কল্যাণের লক্ষ্যে, বিভিন্নস্থানে সংগঠন গড়ে তুলা প্রয়োজন।

কিশোর, তরুন, ছাত্র, কৃষক,বৃদ্ধ সহ সর্বস্তরের নাগরিক যারাই আছি রাজনীতিমুক্ত। আমাদেরও সমাজ কল্যাণ সংগঠন গড়তে হবে। কেননা রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন এবং অধপতনের কাজে সমানতালে নিমজ্জিত। অধিকাংশ রাজনীতিবিদ নিজ সার্থের প্রয়োজনে রাজনীতি করেন। যার বাস্তব উদাহরণ অর্থ পাচার, ভূমিদস্যুতা, আত্মসাৎ, জবরদখল এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো নির্মম অসংখ্য ঘটনা। এর প্রভাবে সামাজিকতার অবক্ষয় দৃশ্যমান। সারাদেশের সামাজিকতা ধংসের শেষ প্রান্তে। সামাজিকতা ধংসের স্পর্শকাতর উদাহরণ "কিশোর গ্যাং" যারা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ আগামী প্রজন্ম। তাদেরকে সুপরিকল্পিতভাবে ধংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে সার্থ হাছিলে দায়িত্বশীল চক্র।

রাজনীতির খেলা চলবে অনন্তকাল। এটাই গনতান্ত্রিক সংবিধান। নাগরিক ভাবনার বিষয় হচ্ছে_বৈশ্বিক মানবাধিকার, রাষ্ট্রীয় সংবিধান, আইন, আদালত এসব কিছু তৈরি করা হয়েছে মানব সম্প্রদায়ের জন্যে। মানুষ সৃষ্টির সেরা। সামাজিক জীব ও পারস্পরিক নির্ভরশীল। অথচ রাষ্ট্রীয় প্রেক্ষাপটে সামাজিক অবস্থা কোথায় দাঁড়িয়ে আছে?

এক নজরে সামান্য কিছু টিভি সংবাদের দিকে লক্ষ্য করি। নিন্মে সংবাদের শিরোনাম দেওয়া হলো_

দেশে অনেক মেগা প্রকল্প চলতে থাকায় দুর্নীতি-লুটপাট বেশি হচ্ছেঃ পরিকল্পনামন্ত্রী।

খুলনার ময়ূরী আবাসিক প্রকল্পের প্লট বরাদ্দে

দুর্নীতি-অনিয়ম।

বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প নিয়ে বিস্ফোরক দাবি

বিআইপির।

আবাসনের আড়ালে এমএলএম! শত শত কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা।

প্রকল্প থেকে টাকা লোপাট; দফায় দফায় বাড়ছে অনিয়ম ও দুর্নীতি।

ছাত্রীকে ধর্ষণ; মামলা নেয়নি পুলিশ! শেষ হবে PBI'র তদন্ত?

সরকারি কর্মকর্তাদের নাগরিকদের সাথে আচরণ বিষয়ে কী নির্দেশনা আছে?

একজন কিশোর গ্যাং সদস্যের বেতন সরকারি

কর্মকর্তার চেয়ে বেশি!

ওপেন সিক্রেট; যার কথাই 'আইন'!

ঢাকার নিউমার্কেটের চাঁদাবাজি ওপেন সিক্রেট, প্রতিদিন আদায় ২০ লাখ টাকা।

সুইপার থেকে শিক্ষক পর্যন্ত, যেকোনো নিয়োগে ঘুষ এখন ওপেন সিক্রেট'।

বাংলাদেশে কী অভিজ্ঞতা শিক্ষিত বেকারদের?

চাকরি পেতে কী লাগে? যোগ্যতা, চেহারা নাকি

যোগাযোগ?

চাকরি পেতে কী লাগে? যোগ্যতা, চেহারা নাকি

যোগাযোগ?

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাই দেশে হাজার হাজার বেকার তৈরী করছে।

দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে ২৫ লাখ ৯০ হাজার।

দেশে বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা।

বাংলাদেশে ধনীরা হচ্ছে আরো ধনী, গরিবরা গরিব!

জামিনের পর বদলে গেল আসামি।

হত্যাকে আত্মহত্যা বানিয়ে দেয় পুলিশ! কিসের স্বার্থে?

ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে হরিলুট।

পুলিশ কেমন বন্ধু?

মহেশখালী আতঙ্কের মেয়র।

৭৫ জিডি'তে অভিযুক্ত ভূমিদস্যু মনিরের বিরুদ্ধে নীরব পুলিশ।

চাঁদাবাজি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পুলিশ

কবরস্থানে নিয়ে তল্লাশির নামে চাঁদাবাজি... কনস্টেবলের সাথে নেতৃত্বে পুলিশের এএস...

জাতীয় পরিচয়পত্রে ঋণ জালিয়াতি।

NID জালিয়াতির অন্দরমহল।

জমির নামজারিতে ঘুষ হার নির্ধারণ করেন এসিল্যান্ড?

স্যানিটাইজ করে ঘুষ নেন ওসি।

ফুটপাতের মসলা বিক্রেতা আসাদ বছর না ঘুরতেই কোটিপতি!

বাংলাদেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা কতটা শিশুবান্ধব?

প্রকল্পের আড়ালে দুর্নীতি হাসে।

গোঁজামিলে তৈরি হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রম ?

প্রকাশ্যে ঘুষ নেন কুড়িগ্রামের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নজরুল, নির্বিকার স্থানীয় প্ৰশা...

৭ লাখ দিলেই মাদক ব্যবসা করতে দেবেন ওসি।

চট্টগ্রামে এক বাড়িতে ঢুকে ৪ নারীকে ধর্ষণ !

মেয়ের সামনেই মা'কে ধর্ষণ করলো এসআই জাহাঙ্গীর, তদন্তে মিললো সত্যতা।

একই পরিবারের চারজনকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা!

তিন মাস ধরে কিশোরকে ধর্ষণ করতো পুলিশ! মোবাইলে রহস্য উন্মোচন।

নড়াইলে ১৫টি বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট!

মুন্সিগঞ্জে ৪টি বসতবাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদকের বিরু.....

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কম দামে বসতবাড়ি বিক্রি না করায়, বাড়িতে হামলা ....

২০ ছাত্রীকে ধর্ষণ : দুই শিক্ষকের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ।

শত কোটি টাকার মালিক এই পুলিশ কর্মকর্তা।

মামলার আসামি ১১ মাসের শিশু ও মৃতব্যক্তি।

মৃ-ত ব্যক্তি ইট-পাটকেল ছুড়েছে পুলিশের ওপর।

এখানে অতি সামান্য কিছু প্রকাশিত টিভি সংবাদের শিরোনাম তুলে ধরেছি। তারপরও কি বলতে পারি সামাজিক ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে আছে? গনপ্রজাতন্ত্রী দেশে একাধিক রাজনৈতিক দল থাকবে, একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এদেশে রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক। এমতাবস্থায় আমরা যারা সাধারণ নাগরিক, সর্বাবস্থায় আমাদের কাঁধে গ্লানির বুঝা আপনিতেই চেপে বসে। বাজারের উর্ধগতি বা অনাকাঙ্ক্ষিত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ভোগান্তির অংশিদার আমরাই সাধারণ নাগরিক। আমাদের প্রতি কারো কোন প্রকার ভ্রূক্ষেপ নেই। আমাদের জন্যে শান্তনা বানী, আমরাই নাকি জনশক্তি।

তাই আসুন ঐক্যবদ্ধ হই, যার যার স্থানে ও নিজ সামাজিকতায়। আমার মতো অতি সাধারণ নাগরিক আছেন যারা, ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগঠন গড়ে তুলুন "জনশক্তি সমাজ কল্যাণ অনন্ত সংঘ" উক্ত সংগঠন চলবে অনন্তকাল সরকার সমথর্নে সম্মিলিত উদ্যোগে "সমাজ ও সেবা" উন্নয়নের লক্ষ্যে। সরকারের আসনে কে কিভাবে আসলো, কিভাবে বসলো, তা দেখার দায়িত্ব আমাদের গড়ে তুলা, উক্ত সংগঠনের নয়। সামাজিক ভারসাম্য রক্ষার্থে, দেশ ও জাতির কল্যাণের তরে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে "জনশক্তি সমাজ কল্যাণ অনন্ত সংঘ" এর একটাই শ্লোগান হবে_

"সরকার জনতার সম্মিলিত উদ্যোগেই রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন হবে__ শফিকুল ইসলাম