রিপোর্টার ,শম্পা দাস ও সমরেশ রায়,কলকাতা
আজ ২৮ শে অক্টোবর শনিবার, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো, আর এই লক্ষ্মী পুজোর দিনে ই মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে ধর্ণা রত বঞ্চিত, আপার প্রাইমারী চাকুরী প্রার্থীরা অভিনব লক্ষ্মী পূজা করলেন সকালে। তারা জানালেন, কি করব নটি বছর এইভাবে দিন কাটছে, ধর্ণাতে 500 দিন ,তাতেও মুখ্যমন্ত্রীর নজর পড়ে না। তাই বাড়ি ঘর ছেড়ে এখানে এসে লক্ষ্মীপুজো করে নিজেদেরকে সান্ত্বনা দিচ্ছি। জানিনা আদৌ চাকরী পাব কিনা কবে পাবো, তবুও আমরা এটুকু আশাবাদী একদিন না একদিন মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দিকে নজর দেবেন। এই আশাতেই আজ আমরা লক্ষ্মী পাঁচালী থেকে শুরু করে সমস্ত আয়োজন করেছি, এবং লক্ষ্মী মাকে শঙ্খ বাজিয়ে আহ্বান জানাচ্ছি,
তাদের দাবি মাননীয় বিচার পতিগণের মানবিক দৃষ্টি আকর্ষণ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা, আর এইভাবে কতদিন কাটাবো, কেন উপযুক্তদের চাকরি দিতে পারছে না, আমরা পড়াশুনা করে পাশ করেছি, সাদা কাগজে পাস করিনি, তাই আমাদের চাকরি চাই। গেজেট রুল ৮.৩ বি মিনি আপডেট সিটে নিয়োগ চাই, আজ লক্ষ্মী পূজোর দিন আমাদেরকে বাচ্চা পরিবার ছেড়ে এখানে এসে বসতে হচ্ছে আর লক্ষ্মী পুজো করতে হচ্ছে। এটা কি আমাদের দরকার ছিল, চতুরদিকে ভ্যাকেন্সি থাকা সত্ত্বেও কেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ দিতে পারছে না তার জবাব চাই, আজ দেখতে দেখতে ৫০০ দিন হয়ে গেল তবুও মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বা তার অনুগামীরা কেউ একবার আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি,
আরো অভিযোগ করলেন আগামীকাল কার্নিভাল করলেন অথচ আমরা দশ হাত দূরে বসে আছি দেখা দেওয়া তো দূরের কথা আমাদেরকে বুঝতে দেওয়া হলো না যাতে সমস্ত কিছু মানুষ বুঝে যায়। তাই আমাদেরকে অনুমতি দেওয়া হলো না বসার কিন্তু আজ আমরা এই লক্ষী পুজো করে লক্ষ্মীর কাছে আমাদের একটাই প্রার্থনা যত তাড়াতাড়ি আমাদের এই ধরনা থেকে মুক্তি দেয়, আজ বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন কারণ একের পর এক পুজো চলে যাচ্ছে কিন্তু তাদের মনে আনন্দ নাই।। এবং সরকার যতদিন না আমাদের দিকে নজর দেবেন ও আমাদের চাকরী না দেবেন ,,আমরা আজ লক্ষ্মী মায়ের কাছে এইটুকুই জানাবো , ধর্ণা ছেড়ে উঠবো না। দেখি কতদিন আমাদের দিকে মুখ না চেয়ে থাকতে পারেন, উনি নাকি সবার মা, মায়ের কর্তব্য কত দিনে হয় দেখা যাক। মা কতদিনে ছেলে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে দেখেন।