মো: ইপাজ খাঁ মাধবপুর হবিগঞ্জ
বিএনপি ডাকা তৃতীয় দফার অবরোধের প্রথম দিন আজ। অবরোধের কারণে হবিগঞ্জে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পৌর বাস টার্মিনাল থেকে একটি বাসও কোন গন্তব্যে ছেড়ে যায়নি। তবে স্বাভাবিক ছিল ছোট ছোট গণপরিবহণ। আর সীমিত পরিষরে চলাচল করছে পন্যবাহী পরিবহণও।
বুধবার সকালে হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়- হবিগঞ্জে চলাচলকারী বাসগুলো সাড়িবদ্ধভাবে দাড় করিয়ে রাখা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কুমিল্লা-ময়মনসিংহগামী বাসগুলোর টিকেট কাউন্টার। তবে খোলা ছিল হবিগঞ্জÑসিলেট বিরতীহিন পরিবহণের কাউন্টার।
কাউন্টারে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার জানান, হবিগঞ্জ মটরমালিক গ্রুপের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি কাউন্টার খোলা হয়েছে। কোন চালক যদি বাস চালাতে চান, তাহলে চালাতে পারবেন।
এদিকে, সকাল থেকে পৌর বাস টার্মিনালে খুব একটা যাত্রীও চোখে পড়েনি। যারা এসেছেন তারাও ছোট ছোট যানবাহন যেমন- সিএনজি অটোরিকশা, মেক্সি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছেন।
যাত্রীদের অভিযোগ- বাস বন্ধ থাকার সুবিধা নিচ্ছে ছোট পরিবহণগুলো। গন্তেব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের কাছ থেকে তারা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে দ্বিগুণ ভাড়া দেয়ার অভিযোগও রয়েছে সিএনজি অটোরিকমার বিরুদ্ধে।
ক্ষতিগ্রস্থ বাস মালিক-শ্রমিক
চলমান হরতাল-অবরোধে হবিগঞ্জে বাস মালিকদের দৈনিক অন্তত ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এভাবে বাড়তে থাকলে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কা করছেন পরিবহণ মালিকরা। কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে পরিবহণ শ্রমিকদেরও।
হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শংক শুভ্র রায় হবিগঞ্জ২৪-কে জানান, হবিগঞ্জ থেকে সিলেট এবং মৌলভীবাজারে চলাচল করে ‘হবিগঞ্জ-সিলেট বিরতিহীন এক্সপ্রেসের’ ২শ’ বাস। এছাড়া জেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে চলাচল করে আরো অন্তত শতাধিক বাস। অন্যদিকে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে আরো অর্ধশতাধিক।
এই খাতে হবিগঞ্জে জড়িত রয়েছে ৬ হাজার শ্রমিক। এর মধ্যে দৈনিক কাজ করে ২ হাজার শ্রমিক। বাস চলাচল বন্ধ থাকার কারণে তাদেরকেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অনেককে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।