মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন তুহিন, যশোর জেলা প্রতিনিধি
সিসি টিভির ফুটেজ ও মোবাইলের কল লিস্ট দেখেই যশোরের বেনাপোলে ওমর ফারুক সুমনের তিন খুনিকে আটক করেছে যশোরের জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।এসময় সুমনকে হত্যার পরে লাশ গুম করার জন্য ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভোররাতে আটকের পর তাদের যশোরে নিয়ে আসা হয়েছে আটককৃতরা হলো, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আলিকামুড়া গ্রামের সুনিল চন্দ্র দাসের ছেলে বর্তমানে ঢাকার শাখারী বাজার এলাকার বাসিন্দা ডালিম কুমার দাস (৩৩), কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর গ্রামের ঠাকুরদাস নিয়োগির ছেলে বর্তমানে ঢাকার শাখারী বাজার এলাকার বাসিন্দা অঞ্জন নিয়োগি (৪৯) ও পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের দৌলত মুন্সির ছেলে বর্তমানে ঢাকার ফকিরাপুল এলাকার বাসিন্দা রিয়াজ হোসেন (৩৮) ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানিয়েছেন, তিন কোটি টাকার সোনা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১১ নভেম্বর যশোর বেনাপোলের আন্তর্জাতিক সোনা চোরাচালান চক্রের প্রধান হোতা কামালের নেতৃত্বে যশোর শার্শা উপজেলার টেংরালি গ্রামের ওসমান গণির ছেলে ওমর ফারুক সুমনকে অপহরণ করা হয়।
এরপর তাকে পিটিয়ে হত্যার পরে এসিড দিয়ে পরিচয় গোপন করার উদ্দেশ্যে বেনাপোল থেকে যশোর হয়ে মাগুরার রামনগর এলাকার একটি ঝোপের মধ্যে ফেলে রাখে। গত ১৬ নভেম্বর সকালে মাগুরা এবং যশোরের ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় সুমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের মা ফিরোজা বেগমের দায়ের করা মামলাটি চাঞ্চল্যকর বলে মনে করেন জেলা প্রলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার।
ফলে ডিবি পুলিশের এসআই মুরাদ হোসেন, এসআই মফিজুল ইসলাম ও এসআই শামিম হোসেন ঘটনাস্থলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং ওই এলাকার মোবাইল নম্বরের কললিস্ট পর্যালোচনা করা হয়। এরপরে উঠে আসে হত্যাকাণ্ডের কাহিনী এবং লাশ কোথায় কিভাবে নেয়া হয়েছে। একই সাথে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত জিনিসপত্রের ও সন্ধানে কাজ শুরু করে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতেই তারা জানতে পারে সুমনকে হত্যা করে লাশটি গোপন করার জন্য ব্যবহৃত হাইয়েক্স মাইক্রোবাস এবং তিনজনের সন্ধান পেয়ে রাতেই অভিযান চালানো হয় ঢাকায়।
ভোর রাতে ওই তিনজনকে আটক ও লাশ গুমের জন্য ব্যবহৃত একটি গাড়ি উদ্ধার করে শুক্রবার তাদের যশোর আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার তাদের তিনজনের জবানবন্দি গ্রহণ করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।