জামালপুর জেলা মাদারগঞ্জ উপজেলায় সিধূলী ইউনিয়ন পরিষদের পাশে অবস্থিত গিয়াস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক ওহিজল হকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এবং অন্যান্য এলাকাবাসী ।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায় , গিয়াস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওহিজল হক শিক্ষকতার পাশাপাশি মুদরাফা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সে মাঠকর্মী হিসেবে যুক্ত ছিলেন । অত্যন্ত সুকৌশলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের আশেপাশের গ্রাম সহ বিভিন্ন গ্রামের সহজ-সরল লোকদের ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় মাসিক ডিপিএস করে প্রায় পনেরো বছর আগে থেকে । এক পর্যায়ে গ্ৰাহকদের মেয়াদ শেষ হলেও অনেক গ্ৰাহক মূল টাকা সহ জমা কৃত টাকার লভ্যাংশ কোনটাই পায়নি ।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী চর লোটাবর গ্ৰামের আ: কদ্দুস শেখের স্ত্রী মোছাঃ মমেনা বেগম বলেন , ওহিজল মাষ্টার কৌশলে আমাকে প্রায় পনেরো বছর আগে মুদরাফা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সে ডিপিএস করায় , এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত ডিপিএস এর মেয়াদ দশ বৎসর শেষ হলে অন্যান্য সদস্যগনদের মত আমার জমাকৃত টাকার সকল মূল রিসিভ জমা নেন এবং টাকা উত্তোলনের কথা বলে প্রায় পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন টাকা পাচ্ছি না বরং বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছি ।
একই কথা বলেন সিধুলী গ্রামের ছানোয়ারা , ছবুরা ও কল্পনা সহ আরো অনেকে । তাদের দাবি আর হয়রানির শিকার হতে চাই না , আমরা আমাদের জমা কৃত সকল টাকা সহ সবকিছু ফেরত চাই ।
এছাড়াও সরিষাবাড়ী থানাধীন চর রৌহা গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্ৰাহক বলেছেন , মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে ওহিজল মাস্টার আমাদের ডিপিএস করিয়েছিলেন এখন ডিপিএস এর টাকা ও লাভের টাকা কোনটাই পাচ্ছি না ।
উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে গিয়াস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক ওহিজল হক বলেন , শিক্ষকতার পাশাপাশি মুদরাফা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সে মাঠকর্মী হিসেবে যুক্ত অবস্থায় মমেনা বেগম কে উক্ত ইন্সুরেন্সে ডিপিএস করেছিলাম , মেয়াদ শেষ হওয়ায় তার জমা কৃত টাকার সকল মূল রিসিভ জমা নিয়ে ঢাকা হেড অফিসে জমা দেই টাকা উত্তোলন করার জন্য । বিভিন্ন সময়ে মমেনা বেগম ও তার পরিজন নিয়ে আমার কাছে আসতো ।
একপর্যায়ে অন্যান্য সদস্যগনদের কথা জানতে চাইলে সুকৌশলে এড়িয়ে যান তিনি ।
এবিষয়ে গিয়াস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তোজাম্মেল হক ও গিয়াস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সিধুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করেও কোন প্রকার সমাধান হয়নি ।
উপরোক্ত বিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম এবং সাবেক উপজেলা নিবার্হী অফিসার ইলিশায় রিছিল বলেছেন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
পরবর্তীতে মোছাঃ মমেনা বেগম গত মাসে ১১ অক্টোবর অন্যান্য সদস্যগনদের নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জেলা প্রশাসক জামালপুর ও জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম ও জেলা শিক্ষা অফিসার মনিরা মুস্তারী ইভা বলেন - ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব ।