রফিকুল হক শিকদার জাহাঙ্গীর
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে গাজীপুরের দুটি আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা জাহাঙ্গীর আলম ইতোমধ্যে দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে নির্ধারিত সময়ে জমা দিয়েছেন। এর আগে টঙ্গীতে এক শান্তি সমাবেশে মানুষ পরিবর্তন চায় জানিয়ে নিজে নির্বাচনে নামার ঘোষণা দেন সিটি করপোরেশনের মেয়রের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নির্ধারিত বুথ থেকে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে মনোনয়নপত্র কেনেন তার প্রতিনিধিরা। তারাই পরে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, তিনি গাজীপুর-১ ও গাজীপুর-২ আসন থেকে এবার দলীয় মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, উন্নয়নের স্বার্থে মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। শহরবাসীকে নিরাপদ রেখে শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান।
কালিয়াকৈর উপজেলা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১ হতে ১৮ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত গাজীপুর-১ আসন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৯ হতে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৩ হতে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট নিয়ে গঠিত গাজীপুর-২ আসন। এই আসনে এমপি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তিনিও এই আসন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন চাইছেন। একই আসন থেকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান ও যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মনোনয়নপত্র কিনেছেন বলে জানা গেছে।
জাহাঙ্গীর আলম দলীয় মনোনয়ন পত্র কেনার পর নৌকায় ভোট প্রার্থনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন তার অনুসারী কর্মী সমর্থকরা। সাধারণ মানুষের নতুন আলোচনা এখন জাহাঙ্গীর ইস্যু। নতুন মুখ আসছে না পুরাতনরা থাকছে এ নিয়ে সরগরম চায়ের স্টল থেকে শুরু করে লোক সমাগম এলাকা।
এর আগে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে জাহাঙ্গীর আলমকে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। পরে ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ায় ২০২৩ সালের ১৫ মে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ।
ওই ঘটনার পর দলের বাইরে থাকলেও চলতি বছরের ২১ অক্টোবর সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে জাহাঙ্গীর আলমকে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমা করে দেওয়ার কথা জানায় আওয়ামী লীগ। এরপর থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে বিভিন্ন সভা, সমাবেশ করছেন জাহাঙ্গীর আলম। রাজধানীতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত একাধিক জনসভায় বিপুল সংখ্যক লোক সমাগম ঘটিয়ে ফের আলোচনায় আসেন জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া সিটি মেয়র, মা জায়েদা খাতুনকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করেন তিনি।