মো: সাজ্জাত হোসেন, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কালীগঞ্জে ৫ পুলিশকে কুপিয়ে আহত করে ওয়্যারলেস সেট ছিনিয়ে নিয়ে আসামি পালিয়ে যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।গুরুতর অবস্থায় এক পুলিশ সদস্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়ের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে ১২(১২)২৩ নং মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী জহিরুল হকের পুত্র আরিফকে গ্রেফপ্তার করতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাব্বির হায়দার শুভর নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ মোক্তারপুর ইউনিয়নের ডেমরা গ্রামে যায়। সে সময় আরিফের পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে বাঁধা দেয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি বাঁধে এবং এসআই সাব্বিরের সঙ্গে থাকা ওয়্যারলেস সেট ছিনিয়ে নেয় আসামী আরিফ। ওয়্যারলেস সেট ফিরিয়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বললে আরিফসহ তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে এসআই সাব্বির হায়দার শুভ ও এএসআই সুলতান মাহমুদ আহত হয়। সংবাদ পেয়ে এসআই শামীম আল মামুন-১ সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আসামী আরিফ পিছন থেকে এসে কনস্টেবল নাইমুর রহমানের গালে দাড়ালো দা দিয়ে কোপ মারে। এতে সে মাটিতে পারে গেলে পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এলে আসামী আরিফ এলোপাথারী কোপাতে থাকে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সেখানে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এ সময় এসআই সাব্বির হায়দার শুভ, এসআই শামীম আল মামুন এবং এএসআই সুলতান মাহমুদ ও কনেস্টেবল আহত হয়। সে সময় আসামি আরিফ পালিয়ে গেলেও তার মা ফাতেমা বেগম (৫০) ও বোন হাফসাকে (১৮) আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
কালীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউনুস কবির বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত দেড়টার দিকে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। সে সময় তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হায়দার শুভ বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত কালীগঞ্জ থানার ১২(১২)২৩ নং মামলার আসামী আটক করতে যাই। ঐ সময় আসামী আরিফ আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। পরে থানায় খবর দিলে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী বলেন, আহত পুলিশ কনস্টেবল নাইমুর রহমানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনার পুলিশ বাদী হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত আসমি আরিফ, তার স্ত্রী নাছরিন বেগম, বড় বোন শিমা আক্তার, মা ফাতেমা বেগম ও ছোট হাফসা বেগমকে আসামি করে ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।