ঢাকা-১৮ আসনের কেটলি মার্কার প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. খসরু চৌধুরী সিআইপি বলেছেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তুরাগ থানাধীন ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় সবকটি রাস্তা ভাঙাচোরা। অধিকাংশ সড়কে রয়েছে বড় বড় গর্ত। রাস্তায় হেঁটে চলাচলও কষ্টসাধ্য। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটুপানি জমে যায়। ভোগান্তি যেন এ এলাকার মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। আমি নির্বাচিত হলে এই এলাকার রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ, পানি ও গ্যাস সমস্যার সমাধান করবো।
শনিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর তুরাগ থানার বাউনিয়া বটতলা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় এ কথা বলেন তিনি। এরপর তিনি রোসাদিয়া নতুন বাজার, কামার পাড়া স্কুল, ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ, ধউর ও দিয়াবাড়ি এলাকায় প্রচারণা চালান।
খসরু চৌধুরী বলেন, আমি স্মার্ট ঢাকা-১৮ আসন গড়তে চাই। যেখানে থাকবে উন্নত রাস্তাঘাট, সুন্দর অবকাঠামো, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, নিরাপদ যোগাযোগ ও গণপরিবহনের ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে থাকবে খেলার মাঠ ও বিনোদনের ব্যবস্থা, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে থাকবে শহীদ মিনার, স্থায়ী কাঁচা বাজার, ঈদগাহ, কবরস্থান ও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। মুসলমানদের জন্য মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মালম্বীদের জন্য থাকবে উপাসনালয়। মশক, দূষণমুক্ত ও সবুজায়নের নগরী। প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকবে আধুনিক অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। প্রতিটি বড় বাজার এলাকায় বিনামূল্যে ইন্টারনেট হটস্পট থাকবে যাতে বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের উন্নতির জন্য প্রযুক্তির সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করতে পারেন। সড়কবাতি, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সড়ক উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন, মাদক নির্মূল, বিনোদনকেন্দ্র স্থাপন, পরিচ্ছন্ন ও পরিকল্পিত আবাসন এবং প্রতিহিংসামুক্ত ঢাকা-১৮ আসন গড়তে চাই।
মো. খসরু চৌধুরী বলেন, ঢাকা-১৮ আসনের প্রতিটি শিশু মানসম্মত শিক্ষা পাবে। বিশেষ মনিটরিং টুলস থাকবে যাতে স্কুলগুলো সর্বোত্তম কার্য সম্পাদনের জন্য দায়বদ্ধ থাকে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়ার জন্য বিনামূল্যে পরামর্শ সেবা দেওয়া হবে। প্রতিটি মসজিদে শিশুদের মৌলিক ইসলামি শিক্ষা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ১০টি কেন্দ্র (মসজিদ) থাকবে যেখানে এই সুবিধাটি প্রদান করা হবে। একটি উপযুক্ত স্থানে একটি কারিগরি ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে যেখানে যুবকরা কারিগরি প্রশিক্ষণ পাবে। শুধু তাই নয়, দেশে-বিদেশে তাদের কর্মসংস্থানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হবে। ঢাকা-১৮ এর সকল জনগণ অর্ধবার্ষিক বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পেইন উপভোগ করবেন যেখানে এক্স-রে, চক্ষু, নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ সহ মৌলিক ওষুধ সুবিধাসহ অভিজ্ঞ ডাক্তার উপস্থিত থাকবে। ঢাকা-১৮ এর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভালো, মেধাবী কিন্তু দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পূর্ণ উপবৃত্তি প্রদান করা হবে।
প্রতিটি বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। যেসব এলাকায় প্রাথমিকভাবে গ্যাসের আওতাভুক্ত করা হবে না সেসব এলাকায় এলপিজি পয়েন্ট থাকবে। যেখানে সম্ভাব্য সর্বনিম্ন বাজারদর থাকবে। তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও গাইড করার জন্য একটি অত্যাধুনিক যুব উদ্যোক্তা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। কেন্দ্র যুবকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলবে। তারা পরে নিজেদের মতো করে ব্যবসা শুরু করবে। এমনকি স্টার্টআপের জন্য সীমিত আকারে তহবিল থাকবে।
ঢাকা-১৮ হবে মাদকমুক্ত। সন্ত্রাসের ভয় ছাড়াই মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবে। এই আসন জনগণ দ্বারা পরিচালিত হবে। যেখানে কোনো মাদক কারবারী, ভূমি দস্যু, সন্ত্রাসীদের জায়গা হবে না। রাজনৈতিক পরিচয়ে কেউ চাঁদাবাজি করতে পারবে না। অটোর স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি কোন চাঁদাবাজি চলবে না। ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া তোলায় জড়িতদের দমন করা হবে।
এসময় তার সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য মো. মহিবুল হাসান, কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম খান, সোহেল রানাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।