রফিকুল হক শিকদার জাহাঙ্গীর
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ৩২ টি আসন শরীকদেরকে ছাড় দেয়। জাতীয় পার্টি কে ২৬ টি আসন ছাড় দেয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ঢকা-১৮ আসনে জাতীয় পার্টি কে ছাড় দিয়ে নৌকা মার্কা তুলে নিলেও এখানে রয়ে গেছে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র দু`জন হেভিওয়েট প্রার্থী।
ঢাকা-১৮ আসনের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৮,পরুষ ভোটার ৩ লাখ ১ হাজার ৯০৯, নারী ভোটার ২ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৩, হিজড়া ভোটার ৬ জন। ১০ জন প্রার্থী আসনটিতে লড়বেন।
ঢাকা-১৮ আসনের বিভিন্ন এলাকার অলিতে-গলিতে ঘুরে দেখা গেছে শক্ত প্রচারণা চালাচ্ছেন দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। একজন আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক খসরু চৌধুরী। মহানগর নেতা মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন ও ট্রাক মার্কা নিয়ে এবং বর্তমানে এমপি হাবিব হাসানের সমর্থন নিয়ে নির্ঘুম প্রচারণা চালাচ্ছেন।
জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন বলে ঢাকা-১৮ আসনের ভোটাররা মনে করেন।
অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে মাঠে দেখা যাচ্ছে হাত ঘড়ি মার্কার প্রার্থী কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দয়াল কুমার বড়ুয়াকে। তিনি বিভিন্ন কৌশলে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও কেটলি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী খসরু চৌধুরী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করেছেন। জনগণ যাকে রায় দিবে সেই নির্বাচিত হবে। আমি আশা ব্যক্ত করি জনগণ আমার পক্ষে রায় দিবে এবং আমি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে সক্ষম হবো।
ট্রাক মার্কা স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে জনগণ আমার ট্রাক মার্কায় ভোট দিবে। এই এলাকায় আমি জনপ্রতিনিধি ছিলাম তখন রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অংশগ্রহণ করেছি। তাই জনগণ এবার ট্রাক মার্কায় ভোট দিবে বলে আমি মনে করি।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-১৮ আসনের লাঙ্গলের প্রার্থী শেরীফা কাদের বলেন, জনগণ পরিবর্তন চায়। আমাকে সকল দলের লোক ভোট দিবে এবং আমি তাদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করবো। তাদের ভোটের প্রতিফলন ঘটাবো। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা ও সরকারি হাসপাতাল গড়ে তুলবো।
আগামী ৭ জানুয়ারি জনগণ যেই রায় দিবে আমি মাথা পেতে নিবো এবং আমি বিশ্বাস করি জনগণ এবার লাঙ্গলে ভোট দিয়ে আমাকে জয় যুক্ত করবেন।
এছাড়াও মাঠে রয়েছেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগে সহ সভাপতি নাজিমুদ্দিন মোড়া মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন।
অন্যান্য প্রার্থীদের প্রচারণা তেমন চোখে পড়ার মতো না। সাধারণ জনগণের দাবি ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হলেও কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের কে কারণ দু`জন স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢাকা ১৮ আসনের অলিতে- গলিতে চষে বেড়াচ্ছেন ভোট দ্বারে দ্বারে।