মোঃ মোশারফ হোসেন,কাউনিয়া প্রতিনিধিঃ
রংপুর,তারিখঃ ২৫-০১-২৪ ইং কৃষিকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে উন্নত ফসল ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সমালয়ে চাষাবাদ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উৎপাদন খরচ কমানো, কর্তনোত্তর অপচয় রোধ, কায়িক শ্রম লাঘব, শ্রমিকের অভাব পূরণ ও ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতেই এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ব্রি ধান ৯২ রোপনের জন্য ট্রে-তে বীজতলা তৈরি, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে চারা রোপন ও কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনে ধান কর্তন পর্যন্ত সহায়তা দিবে কৃষি বিভাগ। এ লক্ষ্যে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার ধর্মেশ্বর গ্রামে(বিজলের ঘন্টি) মীরবাগে অর্ধশত কৃষকের ৫০ একর জমির জন্য বড় কৃষক ৩০ জন ও ছোট কৃষক ১০০ জন মোট ১৩০জন কৃষকের একটি কমিটি করে বোরো ধান সমালয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫০শতক জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়।এ কর্মসূচিতে সরকারি প্রণোদনায় বীজ রোপন থেকে ঘরে তোলা পর্যন্ত যাবতীয় খরচ বহন করা হবে।
ধর্মেশ্বর গ্রামের কৃষক সমিতির সভাপতি মো:আনোয়ার হোসেন জানান, এই ধরনের সমালয় পদ্ধতির মডেল অনুসরণ করে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং সকল প্রযুক্তির সঙ্গে কৃষকের সেতুবন্ধন তৈরিতে কাজ করছে কাউনিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগ। মীরবাগ (কুর্শা) ব্লকের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ নুরনবী ইসলাম বলেন, সমলয় পদ্ধিতে লক্ষমাত্রা নির্ধানর করা হয়েছে ৫০ একর জমি তার মধ্যে এ পর্যন্ত ১৫ একর জমিতে চারা লাগানো হয়েছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানাজ পারভিন জানান, চলতি মৌসুমে কাউনিয়া উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার ৫শ ৯৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কৃষকরা।
কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে সমালয় পদ্ধতিতে চাষাবাদের জন্য বীজতলা তৈরিতে ২ হাজার ১শ ৩৩টি প্লাস্টিক ট্রে ব্যবহার করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষিবিদ শাহানাজ পারভিন, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তামোঃ ইসারত আলী,সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ নুরনবী ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন, কৃষক আশরাফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, মিজানুর রহমান,আঙ্গুর মিয়া,রাজু মিয়া,আঃ ছাত্তার প্রমুখ।