শহরের বাবুরাইলে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে মো. আরমান (৩৯) নামে এক যুবককে রক্তাক্ত জখম করে গুরুতর আহত করেছে। সন্ত্রাসীদের চাপাতির আঘাতে অরমানের দুই হাতের তালু ও আঙ্গুলের অবস্থা গুরুতর। চিকিৎসা শেষে আরমান এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ত্রাসী, ভুমিদস্যু, চাঁদাবাজ নুর হোসেন (৪৭) কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত নুর হোসেন বাবুরাইল এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। আহত নুর হোসেন পাইকপাড়া এলাকার সাহবুদ্দিনের ছেলে। এদিকে নুর হোসেন গ্রেপ্তারে এলাকার নেমে আসে স্বস্তি। তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান স্থানীয়রা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মহল্লা ভিত্তিক ঝগড়া বিবাদের রেশ ধরে সন্ত্রাসী নুর হোসেন (৪৭), মাহিম আহমেদ আরিয়ান (২৫), কামাল হোসেন (৩৮) সহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জন সন্ত্রাসী বাবুরাইল এর শেষ মাথা বটতলা ব্রিজ এর সামনে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আরমানকে আটক করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর করতে থাকে।
এক পর্যায়ে সে বাধা দিলে তাদের হাতে থাকা লোহার রড, কাঠের ঢাসা, চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আরমানের মাথায় আঘাত করলে সে দুই হাত দিয়ে বাধা দিলে ডান হাতের তালু সহ দুই হাতের আঙ্গুলে গেলে রক্তাক্ত জখম হয়। এরপরও তারা হাতে থাকা লোহার রড় দিয়ে বেধড়ক পিটাতে থাকতে থাকে। এক পর্যায়ে আরমান মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার সাথে থাকা সাড়ে নয় হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এদিকে আরমানের ডাক চিৎকারের আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে সন্ত্রাসীরা এ ঘটনায় কোন মামলা বার পুলিশের সহয়তা নিলে তাকে হত্যা করে গুম করার হুমকি চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার ক্ের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।