নিজস্ব প্রতিনিধি:
করনি এ্যাপারেল / করনি গ্রুপ পোষাক কারখানার দূর্নিতির সংবাদ সংগ্রহ কালে স্থানীয় সন্ত্রাসী আরিফ ইকবাল (কাশিপুর সমাজ উন্নয়ন সাংসদ এর সহ সভাপতি) মহিলা সাংবাদিকের গায়ে হাত ও ক্যামেরায় আক্রমণ সহ প্রাননাশের হুমকি।
করনি এ্যাপারেল / করনি গ্রুপ পোষাক কারখানায় কার্মরত শ্রমিকরা, ১৬ই মার্চ সকাল ১০ টায় সাংবাদিকের নাম্বারে কল দিয়ে জানান যে গত ৬ মাস যাবত তাদের বেতন ওভারটাইমের কোন টাকাই তাদের দেয়া হয় না।
টাকা চাইতে গেলে তাদের দেই দিচ্ছি বলে ঘুরাচ্ছেন।
তারা এ বিষয়ে অতিস্ট হয়ে, আন্দলনের পথ বেচে নিয়েছে এবং এখানে মিডিয়ার দরকার। মালিক পক্ষ পুলিশের গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেই সংবাদের প্রেক্ষিতে, ঐ স্থানে কিছু সাংবাদিক উপস্থিত হয়। এবং শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহ করে শ্রমিকরা জানায়, " আমরা বেশিরভাগ লোকই অস্থায়ী নব্বই শতাংশ লোকই ভাড়াটিয়া ও নিম্নস্তর"। টাকা চাইতে গেলেই স্থানীয় সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের অত্যাচার করে,এবং যারা প্রতিবাদ করতে যায়, তাদের দেখে দেখে চাকুরিচুত্য করে,তাই কেও মুখ খুলে আবার কেও সহ্য করে"। এভাবে আর কতোদিন? প্রতি মাসের ইনকামের টাকায় প্রতি মাস তাদের চলতে হয়।
ঘড় ভাড়া দোকান বিল তাদের প্রতি মাসেই পরিষোধ করতে হয় না হয় তাদের পরবর্তী মাসে চলার মত ক্যাপাসিটি থাকেনা। এক পর্যায়ে তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে তাদের চলার মত কোন শক্তি সামর্থ থাকে না।
কান্না চোখে তারা ক্যামেরার সামনে জানান "কম্পানির যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে আমাদের ৬ মাসের বেতন ওভারটাইমের টাকার অর্ধেক দেক আমরা নাহয় অন্য কোথাও কাজ খুজে নিবো।
আমাদের তো খেয়ে পরে চলতে হবে আমাদের আর কোন উপায় নেই আমরা নিরুপায় এই কথা গুলা যদি আমরা মালিকপক্ষ ও কম্পানির উপরপদস্ত কর্মকর্তাদের বলতে যাই আমাদের যখন তখন যা তা ভাষায় গালিগালাজ করেন ও হুমকি দেয়, আমরা এর থেকে মুক্তি চাই। তথ্য সংগ্রহের এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী আরিফ ইকবাল ঘটনা স্থলে এসে শ্রমিকদের বলে "আজ অফিস ছুটি সোমবারে সবার সাথে কথা হবে" এই কথার বিডিও ধারণ করতে যাওয়া সময়ের চিন্তা ডট কম এর সাংবাদিক মোর্শেদা মুন্নী ;তখন সন্ত্রাসী আরিফ ইকবাল বলেন বলে "আপনি আমার ভিডিও করছেন কেনো?আমি পাবলিক,আপনি আমার বিডিও করতে পারেন না "।তার এই প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিক বলে তাহলে আপনি পাবলিক হলে কেনো এসে শ্রমিকদের বলতেছেন অফিস ছুটি? তখন সে সাংবাদিকের উপরে চড়াও হয়ে বলে "আমার নাম আরিফ ইকবাল, আমি চাইলে আপনারা এখানে থাকতে পারবেন না" এইটুকুই বললাম"একদম রেখে দিবো"।কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ের করনি গ্রুপের অফিসের কর্মকর্তারা তাকে সে স্থান থেকে নিয়ে যায়। এই বিষয়ে ঘটনা কালে প্রশাসনের নিরব ভূমিকাই প্রমান করে যে সন্ত্রাসী আরিফের সাথে তারা ও একমত।
উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লার শিল্প পুলিশ এ এস আই মনির, ও এস আই নাদিম।
প্রশাসনকে বলার পরে ও প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে হাসাহাসি করে এবং কোনো রকম কর্নপাত করে না।
বিষয়টির ব্যাপারে ফতুল্লা থানার ওসি নুরে আজমকে কল করলে সে বব্যস্তা নিচ্ছি বলে।১ঘন্টা অতিবাহিত হলে। ফতুল্লা থানার দারস্থ হয়ে ভুক্তভোগী মহিলা সাংবাদিক সন্ত্রসী আরিফের নামে অভিযোগ করে।এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এস আই সন্জয় মালো ঘটনা স্থলে গেলে সন্ত্রাসী আরিফ তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে। দায়িত্বরত এস আই কে ওসি কল করে বলেন আপনি / আপনারা সেই স্থান থেকে চলে আসুন! বিষয়টি আমি দেখছি। উপর পদস্ত কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করে এবং যথাযথভাবে এর সঠিক সমাধান আশা করে। পুলিশ এবং ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা সেই স্থান ত্যাগ করে।