মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মাদক সেবনের একশ টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে।গত বুধবার(২৯মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের উত্তর উমপাড়া এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
স্থানীয়রা জানান, উত্তর উমপাড়া এলাকার হায়দার আলীর ছেলে মিন্টু, মৃত মন্নাফের ছেলে ছনেট ও ধলু মিয়ার ছেলে ফারুক একসাথে মাদক(গাঁজা) সেবন করে। গত ৮-১০ দিন পূর্বে সনেট একশ টাকা বাকিতে মিন্টুর কাছ থেকে গাঁজা ক্রয় করে। সনেট সময়মত টাকা না দেয়ায় মিন্টুর সঙ্গে সনেট ও ফারুকের ঝগড়া হয়। গতকাল দুপুরে ফারুক শাওনকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী ছয়গাঁও গ্রামের তার শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে বাবুর দোকানের সামনে মিন্টুর শ্যালক মনির তার লোকজন নিয়ে ফারুককে আটক করে। এসময় মিন্টুকে ফারুক ফোনে বিষয়টি মীমাংসার জন্য ছয়গাঁও ডেকে নিয়ে মারধর করে। পরে মিন্টুর শ্যালক মনিরসহ আরো লোকজন মিন্টুকে বাড়িতে নিয়ে আসলে মিন্টু ও ফারুকের মধ্যে পূনরায় উভয় পক্ষের সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এসময় ফারক পক্ষের হামলায় মিন্টু তার স্ত্রী পারুল বেগমসহ মেয়ে নুরজাহান,নুরনাহার এবং মিন্টু পক্ষের হামলায় ফারুক সহ তার বোন মীম,চাচাতো বোন লিজা আহত হয়।এ ব্যপারে মিন্টু বলেন, সনেটের কাছে পাওনা একশ টাকা চাওয়ায় ফারুক, দেলোয়ার নাদিম, লিজা,মীম, সেলিমসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন কাঠের চলা, লাইট নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমাকেসহ আমার স্ত্রী,দুই মেয়ে ও শ্যালককে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
ফারুকের ছোট বোন মীম জানায়, মিন্টু তার স্ত্রী, মেয়েরারাসহ আমার ভাইয়ের উপর হামলা চালায়, এসময় আমিসহ আমার চাচাতো বোন লিজা এগিয়ে গেলে আমাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লে পানি ঢেলে আমাকে সুস্থ্য করা হয়। পরে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেই।এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম লিফটন বলেন, দুই পক্ষই মীমাংসার জন্য আমার কাছে এসেছে। আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে জানিয়েছি। যে কোন দিন বসে এটা মীমাংসা করে দেওয়া হবে।