নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জেরে মনু (৪২) এক নামে সন্ত্রাসীকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা।
শুক্রবার (৭ জুন) সকাল ১১ টার দিকে বন্দর উপজেলার মদনপুরের মুরাদপুরে নিজ বাড়িতে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার সন্ত্রাসী মিঠু, টিটু ও মনিরের নেতৃত্বে ১০/১২ জন মিলে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে নিহত মনুর স্ত্রী সাবিনার অভিযোগ। নিহত মনু নাসিক ২৭ নং ওয়ার্ড মুরাদপুর এলাকার মৃত কামালউদ্দিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী নিহত মনুর ছেলে মিনহাজ ও ভাগনি মুনমুন জানান, সোনারগাঁও কুতুবপুর মামির জানাজা শেষে শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে মনিরুজ্জামান মনু মদনপুর মুরাদপুর নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিল। এসময় একই এলাকার নুরা মিয়ার তিন ছেলে মিঠু, টিটু ও মনিরের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ঘর থেকে বাহির করে প্রথমে মাথায় গুলি ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে দুপুর ২ টার দিকে চিকিৎসা ধীন অবস্থায় মারা যায়।
এলাকাবাসী জানান, নিহত মনু মদনপুর মুরাদপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার পরিবারের মধ্যে আবুল পুলিশের ক্রস ফায়ারে নিহত হন। এলাকার আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিহত মনু ভাই নুরুজ্জামান নুরা ও বাবুল আক্তার, বড় বোন নিলুফা অপর সন্ত্রাসী গ্রুপ সুরুত আলীর ছেলে হাবিবের নিয়ন্ত্রনাধীনদের হাতে খুন হয়েছেন। তার পর থেকে মনু কাপাসিয়া বিয়ে বিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতো। বৃহস্পতিবার মনু পাশ্ববর্তী সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুরের কুতুবপুর এলাকায় তার মামি মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ওই বাড়িতে যায়। শুক্রবার সকালে মনু নিজ বাড়িতে পৌঁছালে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। একই পরিবারের ৯ জনের খুনের মধ্যে দিয়ে ইতি ঘটলো!! নাকি পুনরায় খুনের নগরীতে পরিনত হলো এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মনিরুজ্জামান মনুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় প্রতিপক্ষ একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। এঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।