নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি কোরবানির পশুর হাটে গরুবাহী পিকআপ/মিনিট্রাকে অবৈধ টোকেনের মাধ্যমে চাঁদাবাজিকালে ইজারাদার কপিল মেম্বারের মেয়ের জামাইসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৫ জুন শনিবার দুপুরে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তুরাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম।*
তিনি বলেন, এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদাবাজির টোকেনসহ হাতেনাতে ৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ইজারাদারের মেয়ের জামাই নাসির উদ্দিন (৫০)।*
গ্রেফতার অন্যরা হলেন- তুরাগ থানাধীন নলভোগ এলাকার শামিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. রনি (২২), পাকুরিয়ার শামসুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. তুহিন (১৯) এবং পাকুরিয়া তারা মসজিদ সংলগ্ন এলাকার ভাড়াটিয়া আতিকুর রহমান। এ ঘটনায় তুরাগ থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হাটে কুরবানির পশু পরিবহণে নিয়োজিত পিকআপ চালকদের কাছে লাল রঙের টোকেনের মাধ্যমে প্রতিটি পিকআপ থেকে ৪ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছিলেন প্রধান অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন। এ সময় তারা টোকেন ব্যতিত কোনো পিকআপকেই হাটে ঢুকতে দিচ্ছিলেন না।*
এজাহারে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন হাটের ১ নম্বর হাসিল ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে একেকটি টোকেন বিক্রি করছিলেন। এ সময় ভুক্তভোগী গাড়ি চালকদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নাসির উদ্দিনের দেহ তল্লাশি করে পাঞ্জাবির পকেট থেকে নগদ ৭৯ হাজার টাকা উদ্ধার করে। এ সময় নাসিরের পকেটে ৬১৭ নম্বর একটি টোকেনও পায় পুলিশ।*
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে দিয়াবাড়ি পশুর হাটের ইজারাদার কফিল উদ্দিন মেম্বার মোবাইল ফোনে বলেন, আমি এখন কোর্টে এসেছে। নিজ মেয়ের জামাই কর্তৃক হাটে চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। তাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে কারা ফাঁসিয়েছে- প্রশ্ন করা হলে ইজারাদার কফিল উদ্দিন মেম্বার জবাব এড়িয়ে যান।*
এদিকে চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযুক্তদের সম্পৃক্ততা ও আদালতে প্রেরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তুরাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, কফিল উদ্দিনের মেয়ের জামাই (নাসির উদ্দিন) হচ্ছে মূল। তিনি ১ নম্বর আসামি। তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, টাকা-পয়সা নিচ্ছিলেন।
উনার কাছ থেকেই সবকিছু জব্দ করা হয়েছে।*