নিম্নবিত্ত, গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী, শুভানুধ্যায়ী এবং বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ এবং ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে সারা দেশে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা অচল হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত শিবির সংঘবদ্ধভাবে মেট্রোরেল এক্সপ্রেসওয়ে, বিটিভি ভবন, সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এবং তছনছ করে। বাস-ট্রাকসহ সরকারি-বেসরকারি অসংখ্য যানবাহনে আগুন দিয়ে ধ্বংস করেছে। এমতাবস্থায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা এবং জীবন-জীবিকা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সরকার সাময়িকভাবে কারফিউ জারি করতে বাধ্য হয়।
তিনি বলেন, এ কারণে নিম্নবিত্ত, খেটে খাওয়া মানুষের উপার্জনের স্বাভাবিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বিশেষ করে যারা প্রতিদিনের উপার্জনে সংসার নির্বাহ করেন যেমন- রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ফেরিওয়ালা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক ইত্যাদি নানা পেশার মানুষকে নিদারুণ কষ্টের মুখে পড়তে হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এমতাবস্থায় আমি আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা করোনাভাইরাস মহামারির সময় সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছিল, বর্তমান এই ক্রান্তিকালেও সাধারণ মানুষের পাশে দঁড়িয়ে তাদের সহায়তা করবেন বলে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।