টাঙ্গাইল, ২৪ জুলাই ২০২৪ ইং জেলার চরাঞ্চলে বন্যাকবলিত এলাকায় ৭২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে ছাত্রছাত্রীসহ অভিভাবকরা চরম হতাশায় রয়েছে। বন্যার পানি সরে গেলে দ্রুতই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
টাঙ্গাইল প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১২টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে ৩টি উপজেলার চরাঞ্চলে ৭২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে ও প্রতিষ্ঠানের অঙিনায় পানি থাকায় পাঠদানের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলায় ২৬টি, ভুঞাপুর উপজেলায় ১৪টি। এছাড়াও সদর উপজেলায় মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১টি, বাসাইল উপজেলায় ৪টি, ভুঞাপুর উপজেলায় ৮টি ও কালিহাতী উপজেলায় ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ভুঞাপুর উপজেলার চর ভদ্রশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী বিথী বলেন, আমাদের স্কুলে রুমের ভেতর পানি উঠেছে। তাই স্যার আমাদের স্কুলে যেতে নিষেধ করেছেন। বিথীর বাবা শেখ কামাল বলেন, ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে পানির মধ্যে না যাওয়াই ভালো।
ভুঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহা আলম আকন্দ শাপলা বলেন, ভুঞাপুরের একটি অংশ যমুনা ঘেষা গাবসারা ইউনিয়ন। এটির প্রায় পুরো অংশই পানিতে নিমজ্জিত। এরমধ্যে এই ইউনিয়নে সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে নিমজ্জিত। তাই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও নেই পাঠদান।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক বলেন, চরাঞ্চলে বন্যাকবলিত সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এ এম জহিরুল হায়াত জানান, বন্যা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই পাঠদান শুরু হবে।