বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৭ অপরাহ্ন
ভিনহেডো (ব্রাজিল), ১০ আগস্ট, ২০২৪ ইং ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৬১ আরোহীর সকলে নিহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ৫৭ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিল।
ব্রাজিলের ভোয়েপাস এয়ারলাইনের এটিআর ৭২-৫০০ বিমানটি শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় পারান রাজ্য থেকে সাও পাওলো শহরের প্রধান বিমানবন্দরে যাচ্ছিল। এ সময়ে ভিনহেদো এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
এয়ারলাইন সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
এদিকে ভোয়েপাস প্রথমে যাত্রী সংখ্যা ৫৮ বলে জানিয়েছিল। পরে এক বিবৃতিতে সংশোধন করে যাত্রী সংখ্যা ৫৭ বলে জানায়।
ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বিশাল এলাকাজুড়ে আগুন জ্বলছে এবং ধোঁয়ার কু-লী আকাশে উঠে গেছে। ঘটনার পরপরই উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
সাও পাওলো থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে ভিনহেদো অবস্থিত। এর কাছাকাছি ভেলিনহোসের নগর সরকার জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানে কেউ বেঁচে নেই। উদ্ধারকাজে যুক্ত রয়েছে এই নগর সরকার।
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তবে ফ্লাইট রেকর্ডারগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
বিমানটি একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হলেও মাটিতে থাকা কেউ হতাহত হয়নি। এতে একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা নিহতদের স্মরণে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন। এছাড়া তিনি নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন। এ ঘটনাকে খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টও দিয়েছেন ডি সিলভা।
ব্রাজিলের সিভিল এভিয়েশন এজেন্সি বলেছে, বিমানটি ২০১০ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটির বৈধ রেজিস্ট্রেশন এবং উড়ার সক্ষমতা বিষয়ক সার্টিফিকেট ছিল। এছাড়া দুর্ঘটনার সময় বোর্ডে থাকা চারজন ক্রু সদস্যের সকলেই যথাযথভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত এবং তাদের বৈধ যোগ্যতা ছিল।
উল্লেখ্য, নেপালে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইয়েতি এয়ারলাইন পরিচালিত আরেকটি এটিআর ৭২ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৭২ আরোহীর সকলেই প্রাণ হারিয়েছিল।
সে সময়ে নেপালী কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনার জন্যে পাইলটের ভুলকে দায়ী করেছিল।