অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ের মধ্যে দুর্নীতির ঘটনাগুলো তদন্ত করে বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, দুর্নীতি চারদিকে জেঁকে বসেছিল। এটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। গত ১৫ বছরে তা আরও বেড়েছিল। আমি মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যতদিন আছে এসময়ের মধ্যে দুর্নীতির ঘটনাগুলো তদন্ত করে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ: এখন কী করতে হবে’ শীর্ষক বিশেষ ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু ঘটনা ঘটেছে। দায়ীদের জবাবদিহি করতে হবে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে জাতিসংঘের সহায়তা নেওয়া দরকার।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সব কালো আইন বাতিল করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নির্ধারণ করে সংস্কার পরিকল্পনা করতে হবে। জনপ্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ, সংসদ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, তথ্য কমিশন, মানবাধিকার কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ঢেলে সাজানোর কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষা ও পেশাজীবী প্রতিষ্ঠানগুলোতে দলীয় অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের দাবি রাজনৈতিক দিক থেকে যৌক্তিক। তবে ডকট্রিন অব নেসেসিটি থেকে এখনই তা কতটা যৌক্তিক, তা নিয়েও সবাইকে আরও ভাবতে হবে।
ওয়েবিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজ, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের রিসার্চ ফেলো মির্জা এম হাসান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ম তামিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক মনির হায়দার।