বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি :
গাজীপুরে, তারিখ ১৩/০৮/২০২৪ ইং বহিষ্কৃত এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ১১টি বাড়ি গাড়ি সহ ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক ওই নেতার তাণ্ডবে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুনরায় হামলার আশঙ্কায় অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।*
ভুক্তভোগীরা জানান, গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন থেকে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) ফারুক হোসেন খান আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে দলবল নিয়ে প্রতিদিনই এলাকায় দুই দফা অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছেন। এর আগে গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট রাতে লাঠিসোটা ও ধারাল অস্ত্রসহ শতাধিক লোকের মিছিল নিয়ে এলাকায় তাণ্ডব চালায়। তাদের তাণ্ডব থেকে এলাকার সাধারণ মানুষও রেহাই পায়নি।*
ফারুক হোসেন খান ও তার সহোদর কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা হারুন-অর-রশিদ হারুন পূর্বশত্রুতার জেরে এ পর্যন্ত প্রতিপক্ষের ১১টি বাড়ি, ৩টি গাড়ি ও বেশ কয়েকটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এমনকি গাছা থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয় ভাঙচুর ও দখল করে সেখানে কৃষক দলের অফিস করা হয়েছে।
নগরীর ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কলমেশ্বর এলাকায় যুবলীগ নেতা শেখ ফরিদ, মো. মিলন, ফরহাদ মোল্লা, সজল ও তার সহোদর সুজন, নজরুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, সানোয়ার হোসেন সনু ও তার সহোদর রূপা, বোর্ডবাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের সাবেক মোতাওয়াল্লি মরহুম গিয়াস উদ্দিনের বাড়ি, ব্যবসায়ী শাহ আলমের বাড়ি, কারখানা এবং মোশারফ হোসেন মণ্ডলের বাড়ি ভাঙচুর ও লুট করা হয়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ফারুক হোসেন খান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হওয়ায় নিজেই আতঙ্কিত। বিএনপির পদধারী নেতারাই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে যেখানে কোণঠাসা সেখানে আমার দ্বারা হামলার প্রশ্নই আসে না। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যাদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে তারাই গত ২৪ জুলাই আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। যার সংবাদ বিভিন্ন সংবাদপত্রেও প্রকাশ হয়েছে।
এ ঘটনাগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করে গাছা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এএসএম নাঈম বলেন, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ভাঙচুর লুটপাটের দায় বিএনপি নেবে না।
এ ব্যাপারে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি মো. শওকত হোসেন সরকার বলেন, ফারুক হোসেন খান আমাদের দলের কেউ না। আমাদের নাম ভাঙিয়ে কেউ কোনো অপকর্ম করলে তার দায় বিএনপি নেবে না। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের তালিকা হচ্ছে। অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।*