রিপোর্টার , শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা,
আজ ১৪ই আগস্ট বুধবার, দুপুর দুটোই কলেজ স্কোয়ার মোড়ে, ভারতীয় জনতা পার্টি এক ধিক্কার মিছিলে আয়োজন করেন। এবং কলেজ স্কোয়ারে জমায়েতন, প্রায় কয়েকশো ভারতীয় জনতা পার্টি সদস্য, বিচারক থেকে শুরু করে ডক্টর ও সাধারণ মানুষ জমায়েতন, সকলের একটাই দাবি অবিলম্বে দোষীদের আরণ না করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে এবং সঠিক তদন্ত চাই। এবং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যাদের আড়াল করতে চাইছেন তাদের সম্মুখে আনতে হবে।
তারা বলেন যিনি একজন মহিলা হয়ে একটি মহিলা ডাক্তারের প্রাণ রক্ষা করতে পারেননি এবং তাকে নির্মমভাবে মেরে ফেলা হলো, আজও তার সঠিক তদন্ত ও বিচার, এমন কি দোষীদের শাস্তি হলো না , সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা দরকার। দোষীদের শাস্তির না দিয়ে তাদের প্রমোশন দেয়া হচ্ছে, বাংলায় এরকম একটি লজ্জাকর ঘটনা, যা সারা পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যিনি সকলের মা, সকলের দিদি, এই রাজ্যে একটি সরকারি হসপিটালে এইরকম নির্মম ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে নিরাপত্তা কোথায় গিয়েছে। একজন পুলিশ মন্ত্রী হয়ে, আজও চুপ করে বসে আছেন, ।
উপস্থিত ছিলেন কলকাতার ডিস্ট্রিক্ট প্রেসিডেন্ট তমগ্ন ঘোষ, দিলীপ ঘোষ, রুদ্রনীল ঘোষ, পাপিয়া অধিকারী, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খান, রাহুল সিনহা, তাপস রায় সহ বহু পদাধিকারী বিধায়ক ও মন্ত্রী।
তাদের একটাই স্লোগান, ধর্ষণকারীদের শাস্তি চাই, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই, সঠিক বিচার চাই, কোনভাবেই ধামাচাপা দেওয়া চলবে না, যতদিন না ধর্ষক কারীরা ধরা না পড়ছে এবং সাজা না হচ্ছে আমরা এই বিক্ষোভ চালিয়ে যাবো, উপযুক্ত ডাক্তারের শাস্তি চাই, এছাড়াও তারা বলেন বিভিন্ন হসপিটালে কুকর্ম বেড়ে চলেছে, এমনকি তারা কিডনি পাচারে কোথাও তুলে ধরেন, সমস্ত সাথে যোগ সাজশ রয়েছে এই সকল ঘিন্নকারী একশ্রেণীর শাসকদের, আর আমরা বাংলায় হতে দেব না, একটা নিরীহ ডাক্তারের উপর যে পৈয়সাচিক ঘটনা ঘটিয়েছে, এবং কি যন্তনা সহ্য করে মারা গেছেন। শুধু তাই নয়, এতগুলো ক্ষত ধরা পড়া সত্বেও তাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেছেন ,আমরা তা হতে দেব না। সমস্ত কিছু সঠিক তদন্ত চাই, পুনরায় কামদুনির ঘটনাকে সামনে এনে দিল, আর জি কর মেডিকেল কলেজের ঘটনা। আজ সকল ছেলেমেয়ের বাবা-মা ভীতসন্ত্রস্ত।। তাহারাও প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন, এরপরও মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী চুপ করে বসে আছেন, আর শাস্তি পাবে বলে টানবাহানা করছেন। আজ সমস্ত মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে নার্স, ডাক্তারেরা বিক্ষোভ এ ফেটে পড়েছেন, একটা বোনের ও করো মেয়ের সঠিক বিচারের আশায়। এবং দোষীদের শাস্তির আসায়। তারাও তাদের ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তার কথা ভাবছেন।