ঢাকা, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম মোটেও হতাশাব্যাঞ্জক না। জনসাধারণের জন্য বাজার যেন আরো সুখকর হয়, সে জন্য আমরা কাজ করছি।
আজ রোববার বিকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের পোল্ট্রী খাত সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, নিত্যপণ্যের দাম কমানোর জন্য উৎপাদন খরচ ছাড়াও অন্যান্য ফ্যাক্টর থাকে। বাংলাদেশে কোন জিনিসের দাম বাড়লে সহজে কমতে চায় না, সময় লাগে।
পোল্ট্রী খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সাথে কি আলোচনা হয়েছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিম ও মাংস উৎপাদনকারীদের বিদ্যমান সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, উৎপাদক থেকে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত দামের বিরাট ব্যবধান থাকবে না। ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। আমরা বলেছি যে, সেগুলো আমরা দেখবো। ট্যাক্স ও ট্যারিফের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎপাদক পর্যায়ে ১৮৫ টাকার সোনালি মুরগী ঢাকায় ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এ বিষয়ে উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, কৃষি বিপনন অধিদপ্তর এখন থেকে নিয়মিত পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হবে। ভোক্তা অধিকার ও প্রতিযোগিতা কমিশন বাজার মনিটরিং করবে। উৎপাদনকারীরা বলেছেন তারা উৎপাদন বাড়াবেন। আবার বিপননেরও কিছু মিস ম্যানেজমেন্ট রয়েছে সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
জ্বালানি তেলের দাম ইতোমধ্যে কমেছে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ব্যবসায়ীদের বলেছি পরিবহন ব্যয় কমবে- অন্যান্য ব্যয়ও কমবে সেটা আপনাদের উৎপাদিত পণ্যে রিফ্লেক্ট করেন। বাংলাদেশে পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর কমে না সেটা চলবে না।
ডিম ও পোল্ট্রী খাতের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে কি করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন আর সিন্ডিকেট করে ব্যবসা করা যাবেনা।
এসময় বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: রেয়াজুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।