টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং জেলায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস,এম জিলানীর গাড়ি বহরে হামলায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যার ঘটনায় আজ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম- সহ এহাজার ৬১৮ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে শওকত আলী দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি (মামলা নম্বর-২৪, তারিখ- ১৭/০৯/২০২৪) দায়ের করেন।
এ মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম, যুবমহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভানেত্রী নাজমা আক্তার ও তার ভাই কাবুল খলিফা, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মৃনাল কান্তি রায় চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে. কর্ণেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খানের মেয়ে কানতারা খালেদা খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলম, মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান টুটুল, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক সিকদার, গোপালগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম কবির ও সাধারণ সম্পাদক আলীমুজ্জামান বিটু-সহ জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের ১১৮ জন আওয়ামী লীগ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও এ হত্যা মামলায় একহাজার পাঁচশ’ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান মামলা রেকর্ড হয়েছে উল্লেখ করে জানান, ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১২ জনকে আটক করেছি। তাদের ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এজাহারে আটক কারো নাম থাকলে তাকে এই মামলার আসামি হিসাবে সোন এ্যারেস্ট দেখানো হবে। এছাড়া আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।