রাজধানীর উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে বৃহস্পতিবার তারিখ ০৫/১২/২০২৪ ইংগোলাম ফারুকের জমি দখল করে রেখেছে একটি কুচক্রী মহল, এমনি অভিযোগের ভিত্তিতে জমির মালিক প্রাশাসনের দারে দারে ছুটছেন বলে জানা যায়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাগিনা পরিচয়ের সহযোগিতায় ঐ মার্কেট দখলে নেয় জমির আলী নামে এক ব্যক্তি। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ঐ মাকের্ট দখলে রেখেছে জমির আলী ও তার বাহিনী।
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এভাবেই নিজের সর্বস্ব হারিয়ে গোলাম ফারুক ভুক্তভোগী এই ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় মোট জমির পরিমাণ ৩৪.৫০ শতাংশ মধ্যে অন্য ওয়ারিশ ৭.৫০ শতাংশ ৩৪.৫০ শতাংশের এর কাতে গোলাম ফারুক ক্রয় কৃত জমির পরিমাণ ২৪ শতাংশ এবং কিন্তু জামীর আলী দাবি করেন তার জমির পরিমাণ ১৮ শতাংশ কিন্তু তিনি দখল করেছে ৩৪.৫০ শতাংশ
তার ঠিক জমির চৌহদ্দিতে দেখা যায় র্পূর্বে ছিল জমির আলীর জমি, অংশ যা পরবর্তীতে ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কে চলে যায় কিন্তু ধূর্ত জমির আলী কৌশলে সাবেক সড়ক পরিবহন সেতু মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর কথিত ভাগিনা ও তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসান সহ সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় রাতারাতি ওই মার্কেট দখলে নেয়।
মার্কেটে একটি অফিস বানিয়ে সেখানে সন্ত্রাস বাহিনী গড়ে তুলেছেন জমির আলীর মেয়ে রাবিয়া সানি ও তার স্বামী আল আমিন তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই চলে হামলা ও নির্যাতন যার হাত থেকে রক্ষা পায়নি সাংবাদিকও। কিছুদিন আগে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক নয়নকে হেনস্থা ও হত্যার চেষ্টা করেছে এই সন্ত্রাসীরা। এখানেই শেষ নয় ভুয়া কাগজ করে কয়েক দফা এই জমি বিক্রির চেষ্টা চালান জামির আলী। মামলা করেন আদালতেও সেখানে প্রমাণিত হয় গোলাম ফারুক এর মালিকানা খাজ , নামজারি , মহানগর জরিপ সিটি কর্পোরেশন হোল্ডিং নম্বর ৭৩/৭৫ , পানির ওয়াসা , কিন্তু এরপরও পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের প্রেতাত্মারা অদৃশ্য মদদে এখনো ওই মার্কেট দখলে রেখেছে।
এবিষয়ে অনুসন্ধান করলে জানা যায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ উত্তরায় জমি এলোটমেন্টস করার সময় জামির আলী মার্কেটের দখল করা প্লটটি এলোটমেন্ট করেনি। এই মার্কেটের দোকান মালিকরা জামির আলীর মাধ্যমে যে যেভাবে পেরেছে দখল করে আছে। এই মার্কেটের মালিকানা দাবি করা সোনিয়া ও আল আমিন সাথে এখানে দোকান দেওয়া বিভিন্ন দোকনদারের সাথে দ্বন্দ-কলহ, ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকে। এসব বিষয় নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী সহ রয়েছে একাধিক মামলা। ৫ই আগস্টের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীদেরকে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দিয়েও অভিযোগ করে,দলটির সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করে আসছে একটি কুচক্রীমহল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী সরকারের আমলে জামির আলী মার্কেট দখল করে স্থানীয় কাউন্সিলরের সাথে মিলে, কিশোর গ্যাং কে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছিল সোনিয়া ও তার হাসব্যান্ড আল আমিন,৫ই আগস্টের পর ছাত্র-জনতার বিজয়ের পরে অনেক আওয়ামী স্বৈরশাসকরা দেশ ছেড়ে পালালেও তাদের দোসরা এখনও বিভিন্ন স্থানে জায়গা দখল করে রাম রাজত্ব চালিয়ে আসছে ।