শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: জিয়াউর রহমান জিয়া
রাজধানী উত্তরা আসন্ন ইংরেজি নববর্ষ-২০২৫ খ্রিঃ নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে উদযাপনের লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সকল প্রকার আতশবাজি ও পটকা ফুটানো, ফানুস উড়ানো এবং যেকোনো ধরনের বিস্ফোরকের ব্যবহার বরাবরের মতো নিষিদ্ধ থাকবে। ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নানা ধরনের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর উত্তরা থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ আতশবাজি, পটকা ও বিস্ফোরক উদ্ধারসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা(ডিবি)বিভাগ।গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। ইমরানুল ইসলাম ওরফে অপু (২৪) গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পূর্ব থানার পূর্ব আরিচপুর নদীরপাড় মোঃ নুরুল ইসলাম নুরু ওরফে পটকা নুরুর ছেলে ২। শাওন (১৮) একই এলাকার মৃত ইলিয়াস মিয়ার ছেলে।গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ১৩ কার্টুন অবৈধ আতশবাজি, পটকা ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি.) সকাল ১১:০০ ঘটিকায় রাজধানীর উত্তরা-পূর্ব থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করে ডিবি-লালবাগ বিভাগের একাধিক টিম।
ডিবি-লালবাগ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরা-পূর্ব থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় ডিবি-লালবাগ বিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য পায় উত্তরা পূর্ব থানার ৬ নং সেক্টর এসএ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিসের সামনে কয়েকজন অবৈধ আতশবাজি, পটকা ও বিস্ফোরক কেনা-বেচা ও পরিবহনের জন্য অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ডিবির টিম। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালানোর সময় ইমরানুল ইসলাম ওরফে অপু ও শাওনকে ১৩ বস্তা আতশবাজি ও পটকা (চকলেট বোমা, ক্লাস্টার বোমা এবং তারাবাতি) সহ গ্রেফতার করা হয়। এসময় আরও ২/৩ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে আতশবাজি, পটকা ও বিস্ফোরক কেনা-বেচা, মজুদ ও পরিবহন চক্রের সদস্য। তারা তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে সীমান্তবর্তী এলাকা হতে আতশবাজি, পটকা ও বিস্ফোরক সংগ্রহ করে কেনা-বেচার উদ্দেশে ঢাকায় নিয়ে এসে উক্ত স্থানে সমবেত হয়েছিল মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অবৈধ আতশবাজি, পটকা ও বিস্ফোরক কেনা-বেচা, মজুদ ও পরিবহনের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।