রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
তুরাগের বউবাজারে ফুডকোর্ট মার্কেট উচ্ছেদের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত  ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ কর্তৃক ছয়টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ম্যাগাজিন ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার; ভাসানী ফাউন্ডেশন নিউইয়র্কের আলোচনা সভায় বক্তারা মওলানা ছিলেন রাজনীতিকদের আইকনিক নেতা  তিন শূন্যের ধারণার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবী গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার তুরাগের বউবাজার মার্কেট উচেছদের প্রতিবাদে মানববন্ধন ট্রাম্পের সঙ্গে ‘দ্বন্দ্ব’ মিটিয়ে ফেলতে পারবেন ড. ইউনূস সেনাবাহিনী কত দিন মাঠে থাকবে’ সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে  প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্স’র কার্যকরি কমিটি (২০২৪-২০২৬)গঠন ১০ নভেম্বর ২০২৪ শহীদ নুর হোসেন গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মহানায়ক : ডা. ইরান রাজধানী,তুরাগে ছেলের হাতে মা খুন

লালমনিরহাট প্রচণ্ড শীত কাঠখড়ির আগুন দিয়ে বাঁচার চেষ্টা

 

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

মো.হাসমত উল্লাহ,লালমনিরহাট 

 

শীতের সকালে কাঠখড়ি দিয়ে আগুন পোহানো গ্রামের পুরাতন প্রাকৃতিক দৃশ্য। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানার সতীরপাড় এলাকাতেও (১৭ জানুয়ারি সকালে শীতের হাত থেকে বাঁচতে কয়েকজন যুবক আগুন জ্বালিয়ে পোহানোর দৃশ্য চোখে পড়ছে।

 

পৌষের শীতে সবাই গরমের পোশাকে জবুথবু। সূর্য ওঠার সঙ্গে-সঙ্গে বাড়ির আঙিনায় সকাল সন্ধ্যায় আগুন পোহানোর দৃশ্য দেখা যায়। প্রচণ্ড শীতে আগুন পোহানোর দৃশ্যটি সবার কাছে পরিচিত, সেটা হলো শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে আগুন পোহানো। এমন চিত্র শুধু গ্রামেই দৃশ্যমান।

অপরদিক, রবিবার বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খড়-কুটোতে দিয়ে আগুন ধরিয়ে চারপাশে ৮ /১০ জন মিলে আগুন পোহাতে দেখা গেছে । কেউ দাঁড়িয়ে কেউ বসে, যে, যেভাবে পারছেন আগুন পোহাচ্ছেন। শৈত্যপ্রবাহে নাজেহাল অবস্থা সবার। হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডায় সবাই জবুথবু- শিশু কিশোর, বৃদ্ধ, আবাল বনিতা সবার একই হাল। শীত থেকে বাঁচার সাধ্য কারও নেই।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ায় জনসাধারণের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বৃদ্ধ, নারী এবং শিশুরা। শীতবস্ত্র ও সংকটে হাজার-হাজার দরিদ্র মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। জেলাজুড়ে এক সপ্তাহ শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন তারা। শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশায় সকালে কৃষকরা পেঁয়াজ, রসুন ও বিভিন্ন সবজিখেতের জমিতে পরিচর্যা করতে যেতে পারছেন না অগনিত কৃষক।। যার জন্য পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজি পরিচর্যার অভাবে জমিতে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় দিন পার করছেন তারা। বিশেষ করে লালমনিরহাট সদর,আদিতমারী, কালীগঞ্জ,হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম উপজেলা গুলোতে বিভিন্ন সবজীর ব্যাপক ফলন হয়।

 

জানতে চাইলে তারা বলেন, আগুন তাপানোর আয়োজনটা সাধারণত করে থাকে শিশুরাই। যদিও সে আয়োজন উপভোগ করে সবাই। তবে আগুন পোহাতে গিয়ে গাঁয়ের মানুষের দুর্ভোগও কম না। প্রায়ই সংবাদপত্রে সে খবর উঠে আসে। পুড়ে দগ্ধ, পুড়ে মৃত্যু পর্যন্ত হয় মানুষের। তারপরও শীতের প্রকোপ সহ্য করতে না পেরে মানুষ আগুন পোহায়।তারা মনে করেন যতক্ষণ আগুলের পাশে থাকা যাবে ততক্ষণ শীত থেকেও বাঁচা যাবে। শীতের সকাল সন্ধ্যায় আগুন পোহাতে শীতার্ত মানুষ অনেক আনন্দও পান। এটা নতুন কিছু নয়! আগুন পোহানো এটা পুরাতন প্রথা। অন্য বছরগুলোর হিসেবো এ বছর শীত অনেক বেশি। তাই এমনিভাবে প্রতিদিনই গ্রামের ছেলেরা এক কারনে আগুন পোহানোর মাত্রা একটু বেশী।

 

দুই দিন ধরে সূর্যের চোখ দেখা যাচ্ছে না। প্রচণ্ড শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গ্রামের মানুষ! প্রতিদিন বেড়েই চলছে শীত।কোথাও কোথাও সরকারি উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। তীব্র শীতে শিশু কিশোর বৃদ্ধ, আবাল বনিতা, নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিস, জ্বর, সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ ঠান্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com