শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন তুহিন যশোর জেলা প্রতিনিধি
যশোর শহরের স্বর্ণপট্টি থেকে সোনা চোরাই তিন সদস্যকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ ভরি সোনা। পুলিশ বলছে এক মাস আগে শহরতলীর সতীঘটা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া ৭৪ ভরি সোনার মধ্যে ৫০ ভরি উদ্ধার হয়েছে। বাকিগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।শনিবার দুপুরে যশোরের স্বর্ণপট্টিতে হাজির হয় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।
কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুটি জুয়েলারিতে প্রবেশ করে পুলিশ। অল্প সময়ের অভিযানে তারা আটক করে দুই সোনা ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত দুইজনকে।তাদের নিয়ে অভিযান চলে জুয়েলারির দোকান জিএম গোল্ডে। আটক করা হয় প্রতিষ্ঠানটির মালিক বাবু দত্তকে। তার স্বীকারোক্তিতে অভিযান চলে নিলয় জুয়েলার্স ও বিশ্বরূপ জুয়েলার্সে। নিলয় থেকে উদ্ধার হয় ৩০ ভরি ও বিশ্বরূপ থেকে ২০ ভরি সোনা। আটক ছিনতাইকারীরা হলো, সাইফুল ইসলাম ও শাহারিয়ার।রাতে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গেল ২৯ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা বাজারের আরাধ্য জুয়েলাসের মালিক রণজিত দের ছেলে গোপী দে যশোর শহরের ষষ্ঠীতলার সোনা ব্যবসায়ী সঞ্জয় ঘোষের কাছ থেকে ৭৪ ভরি সোনা কিনে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন।
পথিমধ্যে যশোর-মণিরামপুর সড়কের সতীঘাটায় নামক স্থানে পৌঁছালে দুটি প্রাইভেটকারে করে দুর্বৃত্তরা এসে তার গতিরোধ এবং মারধর করে ৭৪ ভরি সোনা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রনজিত দে কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর শহরের পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে সোনা ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত সাইফুল ইসলাম ও শাহারিয়ার নামে দুই যুবককে আটক করা হয়।
এরপর তাদের স্বীকারোক্তিতে শহরের চুড়িপট্টি মোড়ের জিএম গোল্ড নামে একটি জুয়েলারি দোকানে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক বাবু দত্তকে আটক করা হয়। বাবু দত্ত ওই ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে ৫০ ভরি সোনা কিনেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে বাবু দত্ত ডিবি পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি একই এলাকার নিলয় জুয়েলার্সে ৩০ ভরি ও বিশ্বরম্নপ জুয়েলার্সে ২০ ভরি স্বর্ণ বিক্রি করেছেন। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে নিলয় জুয়েলার্স ও বিশ্বরূপ জুয়েলার্স থেকে ওই ৫০ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়।