বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন
রফিকুল হক শিকদার জাহাঙ্গীর
চিরকাল হয় যেন ব্রিটিশের জয়।
ব্রিটিশের রাজলক্ষ্মী স্থির যেন রয়।
এমন সুখের রাজ্য আর নাহি হয়
শাস্ত্রমতে এই রাজ্য রামরাজ্য কয়।”
আমাদের জাতীয় ইতিহাসে পলাশীর যুদ্ধ একটি সুদূরপ্রসারী ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন সংঘটিত এই যুদ্ধে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌল্লাহর পরাজয় বরণের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা সূর্য অস্ত যায় এবং উপমহাদেশে সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে আসা ইংরেজ শাসনের সূচনা হয়। উপমহাদেশকে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত করতে এদেশের মানুষদের প্রায় ২০০ বছর সশস্ত্র ও নিয়মতান্ত্রিক সংগ্রাম চালাতে হয়। ১৯৪৭ সালে ইংরেজ শাসনের অবসানে উপমহাদেশে ভারত ও পাকিস্তান নামের দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র জন্ম লাভ করে। এরপর ২৪ বছর ধরে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন ও সর্বশেষ ১৯৭১ সালের সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামে আমাদের আজকের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।আমরা বর্তমানে বাংলাদেশ নামের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের গর্বিত নাগরিক হলেও যে দিনটিতে আমাদের স্বাধীনতা সূর্য অস্ত গিয়েছিল সেই তেইশে জুন আজও আমরা পলাশী দিবস হিসেবে মহাগুরুত্ব সহকারে স্মরণ করি। কারণ যে পটভূমিতে যেভাবে আমরা স্বাধীনতা হারিয়েছিলাম, তা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে না পারলে পুনরায় স্বাধীনতা হারানোর আশঙ্কা থেকেই যাবে। এজন্যই পলাশী বিপর্যয়ের ঐতিহাসিক পটভূমি এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয় আমাদের সঠিকভাবে জানা ও স্মরণ করা স্বাধীনতাকে নিরাপদ করার স্বার্থেই অপরিহার্য।স্বাধীনতা সম্পর্কে একটা কথা বহুল প্রচলিত রয়েছে যে, স্বাধীনতা অর্জন করা যত কঠিন, তার চাইতে অনেক কঠিন তা রক্ষা করা। কারণ দুনিয়াতে স্বাধীনতা হরণ করার মত অপশক্তির কোনো কালে অভাব ঘটে না। এমন যদি হতো যে, যেসব অপশক্তির কারণে পলাশীতে আমাদের স্বাধীনতা সূর্য অস্ত যায়, বর্তমান বিশ্বে সে সবের কোনো অস্তিত্ব নেই, তা হলেও একটা কথা ছিল। কিন্তু নির্মম বাস্তবতা এই যে, যে পশ্চিমা সাম্রারাজ্যবাদী শক্তির কাছে পলাশীতে আমাদের স্বাধীনতা